আসছে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে পানি নিয়ে হাহাকার পড়ে যাবে। প্রবল তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলেও, একফোঁটা পানি পাওয়া যাবে না। ইতোমধ্যে তার লক্ষণ প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। পানির জোগান এবং সরবরাহের মধ্যে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফারাক। ভারতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইএ ওয়াটার-এর পানির ব্যবহার ও সরবরাহকেন্দ্রিক নতুন এক জরিপ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।খবরে বলা হয়, নগরায়নের বৃদ্ধি এবং শিল্পায়নে বহুগুণে বেড়েছে পানির চাহিদা। কিন্তু তা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত জোগান ভারতের কাছে এ মুহূর্তে নেই। কৃষিকাজ ব্যবহৃত পানির ৭০ শতাংশ এবং গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহৃত পানির ৮০ শতাংশ আসে পানির ভূগর্ভস্থ জোগান থেকে। অনাবৃষ্টি বেড়ে যাওয়ার কারণে যে জোগান ঝুঁকিপূর্ণরকম ক্ষয়িষ্ণু।সমীক্ষায় আরও বলা হয়, বর্তমানে জলের চাহিদা-জোগানের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তা বাড়ছে হু-হু করে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে দেখা দিতে পারে পানির তীব্র অভাব।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন যেদিকেই তাকাবেন, পানির অপচয়ের ছবি। এসব দৃশ্য দেখে বলবে, ভারতে পানি নেই! অবহেলায় বিষিয়ে যাচ্ছে নদীর পানি, কে তার তোয়াক্কা করে! অর্থনীতির সারবাক্য মেনেই চলছে সব কিছু। প্রাচুর্যের সময়ে কেউ কি অভাব নিয়ে ভাবে? তবে প্রতিশোধ নেবে প্রকৃতিও। এখন চলছে তার হাতা গোটানোর পালা। তার লক্ষণ এর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।ভারতে পানির ভবিষ্যৎ হাহাকারের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রায় ১৩০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমানের বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছি উন্নত দেশগুলোর বেশ কটি। বলা হচ্ছে, উন্নয়নপ্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০২০ নাগাদ পানি পরিশোধনকেন্দ্রিক প্রযুক্তিতে অনেকখানি এগিয়ে গিয়ে আসন্ন জলসংকট নিরসন সম্ভব হবে অনেকটাই।জেআর/এআরএস/আরআই
Advertisement