ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখান হচ্ছে মৃত। ‘মৃত’ ওই ব্যক্তিই সোমবার সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিজেকে জীবিত দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেছেন।
Advertisement
হজে যেতে ইচ্ছুক ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার আজাদ হোসেন ভূঁইয়া।
রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ২৩ জুলাই সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে এর কারণ ব্যাখ্যা করতেও বলেছেন আদালত।
আজাদ হোসেন ভূঁইয়া জাগো নিউজকে জানান, চলতি বছর হজে যাওয়ার জন্য চার-পাঁচ মাস আগে তিনি নিবন্ধন করেন। টাকাও জমা দেন। পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আখাউড়া থানা থেকে দারোগা আবুল কালাম তাকে একদিন ফোন দেন।
Advertisement
ভুক্তভোগীর ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমি তখন ঢাকায়। দারোগা আবুল কালাম আমাকে ওইদিনই থানায় এসে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু ঢাকায় থাকায় সেদিন থানায় যাওয়া সম্ভব নয়, বিষয়টি জানালে ওই দারোগা আমাকে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের ফটোকপিসহ আমার ভাইকে থানায় যেতে বলেন।
আমার ভাই থানায় গেলে জানানো হয় আমার নামে মামলা আছে। আমাকেই যেতে হবে। পরের দিন আমি থানায় যাই। গিয়ে দারোগার সঙ্গে দেখা করি। দারোগা তখন আমাকে বলেন, আপনার নামে তো মামলা আছে, তারপর আবার আপনি বিএনপি করেন। ভেরিফিকেশন পেতে খরচপাতি করতে হবে। আমি বললাম, আমার নামে দুটি মামলা আছে, দুটিই রাজনৈতিক এবং আমি প্রথম থেকেই জামিনে আছি। আমি কোনো খরচাপাতি দেব না।’
আজাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যে আমাকে মৃত দেখানো হয়েছে। ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী আজও আমি মৃত। অথচ আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। হজে যেতে চেয়েছিলাম। নিবন্ধন করি, টাকাও জমা দেই। কিন্তু ওই দারোগাকে টাকা না দেয়ায় আজ আমাকে মৃত দেখানো হয়েছে। বাধ্য হয়ে আজ (সোমবার) আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রিট আবেদন করেছি। আমি হজে যেতে চাই।
ভুক্তভোগী আজাদ হোসেন ভূঁইয়ার আইনজীবী মো. কায়সার জাহিদ ভূঁইয়া বলেন, চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার আজাদ হোসেন ভূঁইয়াকে পুলিশ প্রতিবেদনে মৃত দেখানোয় ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৩ জুলাই তাকে সশরীরে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এফএইচ/এমএআর/এমএস