মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণে ভারতে প্রত্যেকদিন গড়ে অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক ও রাজস্থান পুলিশের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
চলতি বছরের এপ্রিলে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির মহাসড়কের পাশে মদের দোকান বন্ধ ও মদ কেনাবেচা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশনার পর দেশজুড়ে প্রচুর সমালোচনা শুরু হয়। দুই বছরের সড়ক দুর্ঘটনার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।
২০১০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দুই বছর ওই গবেষণা পরিচালনা করা হয়; যা গত মে মাসে প্রকাশ করে ভারত। এতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বেশ কিছু পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়।
এতে বলা হয়, আইনের লঙ্ঘন করা হয়; এমন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে তল্লাশি চৌকি বসালে দুর্ঘটনা কমিয়ে আসতে পারে। কেননা নিয়মিত তল্লাশির আওতাধীন সড়কপথ এড়িয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে পারেন চালকরা।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষণা ইউনিট আব্দুল জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব (জে-পিএএল), রাজস্থান রাজ্য পুলিশের সঙ্গে মদ্যপানবিরোধী কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে ওই গবেষণা পরিচালনা করে।
গবেষকরা বলছেন, যেসব এলাকায় পুলিশের বিশেষ স্টেশন আছে; সেসব এলাকায় দুর্ঘটনা ১৭ শতাংশ কম হয়েছে। দুই মাসের পুলিশি ধর-পাকড়ে দুর্ঘটনার পরিমাণ কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
দেশটির সড়ক ও মহাসড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৫ সালে ভারতে ৫ লাখ এক হাজার ৪২৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মদ্যপ গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১৬ হাজার ২৯৮টি (মোট দুর্ঘটনার ৩.২ শতাংশ)। ওই বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬ হাজার ৭৫৫ জন। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ১৮ হাজার ৮১৩ জন।
গত জানুয়ারিতে ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রোড ব্যুরো (এনসিআরবি) অপর এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৫ সালে ভারতে প্রতি ১০ মিনিটে ৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন করে মারা গেছে। যা এর আগের চার বছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি।
Advertisement
এসআইএস/পিআর