বাবা-মা আইএসে যোগ দিয়েছেন। একবারও ছোট্ট শিশুটির কথা ভাবেননি। ক্ষুধা-তৃষ্ণায় ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মসুল শহর থেকে আরো যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারা জানিয়েছেন, সদ্য উদ্ধার হওয়া ওই শিশুটির বাবা-মা দু’জনেই আইএসের হয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। অনাথ এই শিশুটি এখন কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে এই প্রশ্নের উত্তর কারোই জানা নেই।
Advertisement
মসুলের ওই এলাকা থেকে আইএসকে তাড়াতে সক্ষম হয়েছে ইরাকি বাহিনী। তারা ধ্বংসস্তুপের নিচে এবং এর আশে পাশে জীবতদের উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছেন। সেনারা যখন উদ্ধারকাজ করছিলেন তখন তারা দু’টি শিশুকে দেখতে পেলেন। তারা ধ্বংসস্তুপের মধ্যে হামাগুরি দিয়ে চলাফেরা করছিল।
একটি শিশুর ধ্বংসস্তুপ থেকে কিছু একটা তুলে খাচ্ছিল। সেখানকার লোকজন খাবার পানির তীব্র সংকটের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছে। সেনারা ধ্বংসস্তুপের কাছে একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। সেখানে গিয়ে তারা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে তারা জানতে পারেন যে, শিশুটির বাবা-মা আত্মঘাতী হয়েছেন। অনাথ এই শিশুটির কোনো আত্মীয়-স্বজনকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মসুল থেকে আইএস মুক্ত হয়েছে। কিন্তু আইএস জঙ্গিদের তাণ্ডবে শহরটি যে পরিমান ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সেই স্মৃতি চিরদিন থাকবে।
Advertisement
টিটিএন/এমএস