দুটি পা বিকলাঙ্গ, দুই হাতেরও অবস্থা একই। তবুও প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর মনোবল দমিয়ে রাখতে পারেনি প্রতিবন্ধী সাদিককে। ঠিকঠাক হাঁটতে পারে না তবে পরিপাটি। কৌতুহলবসত শহরের আমতলা মোড় এলাকায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবন্ধী সাদিক সরদারের।
Advertisement
প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সাদিক এখন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বিএ পাস কোর্সের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী। সাতক্ষীরা সদরের আলীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের শওকত আলী সরদার ও মা মাশকুরা বেগমের ছেলে তিনি।
সাদিকুর রহমান বলেন, কারো কাছ থেকে কখনো কোনো সহযোগিতা নেইনি। নিজের চেষ্টায় আজ এ পর্যন্ত এসেছি।
একটি ক্র্যাচ হলে আপনি ভালোভাবে চলতে পারবেন প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না আমি সেটাও চাই না। কষ্ট করেই হাঁটতে চায়। আল্লাহ্ আমাকে এমনভাবে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। এজন্য আমার কোনো দুঃখ নেই। তবে লেখাপড়া শেষে একটি সরকারি চাকরি চান বলে নিজের ইচ্ছার কথা জানান তিনি।
Advertisement
প্রতিবন্ধীদের সরকারি চাকরির সুযোগ রয়েছে জানিয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক দেবাশীষ সরদার জাগো নিউজকে বলেন, যদি তার কোনো প্রতিবদ্ধী কার্ড না থাকে তবে সেটার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে যারা লেখাপড়া করছেন সরকার তাদের চাকরির ব্যাপারে অবশ্যই আন্তরিক।
আকরামুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম