চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, দেশে ৮৭ ভাগ নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তবে সামাজিক ও পারিবারিক জীবনমানের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। নারী নির্যাতন ও পারিবারিক সহিংসতা রোধে সনাতনী ধারণারও পরিবর্তন হচ্ছে, যার প্রতিফলন পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ আইন বাস্তবায়নের সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের অবদান অনস্বীকার্য, এলাকাভিত্তিক নির্যাতনের ভিন্নতা আছে, তবে প্রতিকারের জন্য আইনে যেটুকু আছে তা বাস্তবে প্রয়োগ করা হলে সফলতা আসবে।রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিসের কনফারেন্স মিলনায়তনে ঘাসফুলের উদ্যোগে ইউএসএআইডি ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় প্রটেক্টিং হিউম্যান রাইট্স (পিএইচআর) প্রকল্পের পারিবারিক `সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ ও বিধিমালা ২০১৩ বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জসমূহ ও সুপারিশমালা` শীর্ষক এক এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।ঘাসফুলের নির্বাহী পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সিনেট সদস্য ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সারোয়ার জাহান, প্রাক্তন যুগ্ম-সচিব (এলজিআরডি) ড.জয়নাব বেগম, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মুজাহিদুর রহমান।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঘাসফুলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুর রহমান জাফরী এবং নারী নির্যাতন ও পারিবারিক সংহিসতা রোধের উপর তথ্য-উপাাত্ত উপস্থাপনা করেন বিএনডব্লিউএলএ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী (পিএইচআর) অ্যাডভোকেট মিতালী জাহান। আলোচনার সার-সংক্ষেপ উত্থাপন করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রজেক্ট ইমপ্লিম্যান্টেশন ম্যানেজার ফারহানা আফরোজ। কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন- সুপ্রভাত বাংলাদেশের সিটি এডিটর এম নাসিরুল হক, ডেইলী সানের নুর উদ্দিন আলমগীর, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এর মুজাহিদুল ইসলাম, আরপিএম মোঃ তারেকুজ্জামান,ডিপিসি মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ।প্রটেক্টিং হিউম্যান রাইটস (পিএইচআর) প্রোগ্রাম একটি পাঁচ বছর মেয়াদী কর্মসূচি যা বাংলাদেশে পারিবারিক সহিংসতার উচ্চহার হ্রাস ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহায়তায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর রিসার্চ অন উইম্যান (আইসিআরডব্লিউ), বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ) এবং স্থানীয় ১১টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ৬টি জেলার ৮টি উপজেলায় ১০২টি ইউনিয়নে প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সহযোগী সংস্থা হিসাবে ঘাসফুল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বলে সভায় তথ্য উপস্থাপন করা হয়।চৌধুরী লোকমান/এআরএ/আরআইপি
Advertisement