সিলেট জেলার তিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে।
Advertisement
রোববার মুঠোফোন নাম্বার ক্লোন হওয়া ইউএনও’রা হলেন বিয়ানীবাজারের মু. আসাদুজ্জামান, ওসমানীনগরের মো. মনিরুজ্জামান এবং বিশ্বনাথের অমিতাভ পরাগ তালুকদার।
এ বিষয়ে থানা পুলিশকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করেছেন উপজেলা পর্যায়ের এই তিন শীর্ষ কর্মকর্তা। পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার সকালে আমি ডিসি স্যারের অফিসে বৈঠকে ছিলাম। এসময় আমার সরকারি মুঠোফোন নম্বর থেকে আমার উপজেলার বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে ২ হাজার টাকা করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর কথা বলে প্রতারক চক্র। বিষয়টি চেয়ারম্যানদের সন্দেহ হলে তারা আমার ব্যক্তিগত নম্বরে যোগাযোগ করলে বিষয়টি ধরা পড়ে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, সরকারি নম্বরটি ক্লোন করা হয়েছে টের পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলার সকল সরকারি, বেসরকারি দফতর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে অবহিত করি। এ বিষয়টি বিয়ানীবাজার থানায় সাধারণ ডায়রিও করেছি।
এদিকে ওসমানীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রোববার দুপুরে তার সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোনের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে ওসমানীনগরবাসীকে তার ক্লোন হওয়া মুঠোফোন নম্বর থেকে টাকাপয়সা চাইলে না দিতে অনুরোধ জানিয়ে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার দুপুরে আমার মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে উপজেলার উসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মঈনুল ফারুকের কাছে টিআর-কাবিখা বরাদ্দের জন্য বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে। এ সময় চেয়ারম্যান ফারুক কলদাতাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে ফোনের লাইন কেটে দেয়। বিষয়টি চেয়ারম্যান তাকে জানালে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ওসমানীনগর থানার জিডি করেন তিনি।
একই ঘটনা ঘটেছে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ক্ষেত্রেও। তার সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারক চক্র নিজেদের ইউএনও পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করে। এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানায় জিডি করেছেন ইউএনও অমিতাভ পরাগ তালুকদার।
Advertisement
এ প্রসঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার বলেন, বিয়ানীবাজারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। যদি এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ছামির মাহমুদ/এফএ/জেআইএম