বিশেষ প্রতিবেদন

১২ বছর পর মর্গ পেল সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক মর্গ স্থাপিত হয়েছে। শিগগিরই নিজস্ব মর্গে ময়নাতদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা।

Advertisement

রোববার দুপুরে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শনিবার গণপূর্ত বিভাগ মর্গটি তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। নতুন এ মর্গ চালু করতে হলে মরদেহ লাগবে। পুলিশের আইজিপির অনুমতিক্রমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের আওতাধীন বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মর্গে মরদেহ আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইজিপির কাছে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ না বলতে পারলেও দ্রুত মর্গটি চালু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. সেলিম রেজা।

তিনি আরও বলেন, ১২ বছর পর হলেও আমরা একটি অত্যাধুনিক মর্গ পেয়েছি। বিলম্বে হলেও মর্গে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ফলে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ফরেনসিক মেডিসিন অর্থাৎ মেডিকো লিগ্যাল বিষয়ে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পাবেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মেডিকো লিগ্যাল বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা নেন। ২০০৫ সালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল কলেজ নামে এটির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর কলেজটির নাম পরিবর্তন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ রাখে।

এক দশক পেরিয়ে গেলেও এতদিন কলেজের শিক্ষার্থীদের মেডিকো লিগ্যাল বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষার জন্য মর্গের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এ প্রসঙ্গে কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা বলেন, এতদিন শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে মেডিকো লিগ্যাল বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করতেন। নিজস্ব মর্গ না থাকায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যা হতো। এটি চালু হলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থেকেই হাতে-কলমে এ বিষয়ে শিক্ষা লাভ করতে পারবেন।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন এ মর্গে মরদেহ কাটার জন্য ইলেকট্রিক স’সহ (করাত) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। চালুর পর সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) মাধ্যমে পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনসহ প্রয়োজনীয় আরও যন্ত্রপাতি পাওয়া যাবে বলেও জানান ডা. সেলিম রেজা।

এমইউ/এমএআর/জেআইএম

Advertisement