অর্থনীতি

প্রণোদনা পেতে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় বিজিএপিএমইএ

রফতানি খাত সুরক্ষায় নগদ প্রণোদনা প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজ শিল্পে সহায়তা প্রদানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচরার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।রোববার অর্থমন্ত্রণালয় প্রাক বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজ শিল্পে প্রযোজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হলে বর্তমানে এ শিল্পের রফতানি আয় ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১২ বিলিয়নে উন্নতি করা সম্ভব হবে মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।বাজেট প্রস্তাবে তারা বলেন, রফতানি খাত সুরক্ষায় বস্ত্রখাত এবং তৈরি পোশাক শিল্পসহ বেশ কিছু রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নগদ প্রণোদনা সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এ সুবিধার আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প রফতানিমুখী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রণোদনা পায়নি। তাই সরকারের দেয়া প্রণোদনা পেতে অর্থমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ চেয়েছেন বিজিএপিএমইএ।তৈরি পোশাক শিল্পের অন্যান্য সংগঠনের প্রতিষ্ঠানের ন্যায় এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিংয়ের ভবন নির্মানের উপকরণ শুল্কমুক্তভাবে আমদানির দাবি জানান। রফতানির বিপরীতে প্রদেয় বর্তমানের উৎসে কর আগামী পাঁচ বছর অব্যাহত রাখার দাবি জানান। এছাড়াও রাজনৈতিক অস্থিরতায় সময়কালে ক্ষতিগ্রস্ত রফতানি ঋণ শ্রেণিবিন্যাস না করা, একই সঙ্গে রফতানির বিপরীতে ব্যবহৃত পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের বকেয়া মূসক মওকুফের দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া প্রস্তাবে আরো বলা হয়, গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠান শুধু ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানই নয়, শতভাগ রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে গার্মেন্টস খাতে অ্যাক্সেসরিজের পুরো চাহিদাই স্থানীয়ভাবে মেটানো হচ্ছে। এছাড়া গার্মেন্টস খাতের উত্থান-পতনের সঙ্গে খাতটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।তাই সংগঠনটি সরকারের কাছে আমদানির প্রাপ্যতা ইস্যুর ক্ষমতা চেয়েছে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিজিএপিএমইএর সদস্যদের বন্ড লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুই বছরের জন্য নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের ওপর নবায়নের দায়িত্ব অর্পণ করেছে।এছাড়াও ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ইনস্টিটিউট স্থাপনে ১০ কোটি টাকার অনুদানের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয় নাই। সরকারের দেওয়া প্রণোদনা বাস্তবায়ন হলে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা সম্ভব হবে। ফলে শিল্পের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।এসময় বিজিএপিএমইএ সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী, সংগঠনের ১ম সহ-সভাপতি শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী, ২য় সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের খানসহ অর্থমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এসআই/বিএ/আরআইপি

Advertisement