রাজধানী ঢাকা শহরে যানজট সত্যিই অসহনীয় পর্যায়ে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।তিনি বলেন, যানজট সত্যিই অসহনীয় পর্যায়ে। আমি গতকাল (শনিবার) মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে বসুন্ধরা সিটির কাছে পৌঁছানোর পর দেখি রাস্তায় ব্যাপক যানজট। বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে সংসদ ভবনের কাছে পৌঁছাই।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা বললে ঠিকাদাররা ভয়েও কাজ করে। মগবাজার ফ্লাইওভার পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলাম। আমার সেদিনের ওই বক্তব্য নিয়ে অনেকে এডিটোরিয়াল লিখে ফেলেছেন। কিন্তু আমার সেদিনের হুমকির পরে এখন গিয়ে দেখেন অনেক কাজ হয়েছে।কয়েক দিন আগে ওবায়দুল কাদের মগবাজার ফ্লাইওভার পরিদর্শনে দিয়ে কাজের গতিবিধি দেখে শ্রমিকদের হুমকি স্বরুপ বলেছিলেন আমি কাজের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ দেবো।মন্ত্রী বলেন, ফ্লাইওভারটি আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। তাই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেতো আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছেই যাওয়া উচিত।তিনি বলেন, আমাকে রং সাইডে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিলো। আমি রাজি হইনি। বিষয়টি আমি লোক দেখানোর জন্যই করিনি। আর আমার সঙ্গে কোন সাংবাদিকও ছিল না তখন।বৈঠকে ইউএনডিপি প্রতিনিধিদল ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে যানজট নিরসনে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে ইউএনডিপি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।মন্ত্রী বলেন, তারা যানজট নিয়ে স্টাডি করেছে। এতে আমাদের কিছু দৃষ্টি ভঙ্গিও মানসিক সমস্যার কথা বলেছে। এই সমস্যা দূর করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইনে আর্থিক সহযোগিতা করতে চায় ইউএনডিপি।রাজধানীতে প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অনেক পরিবার আছে যাদের ১০টি গাড়ি রয়েছে। একেক জন একেকটি গাড়ি ব্যবহার করছেন। লক্কড় ঝক্কর বাসে মানুষ উঠতে চায় না। কোয়ালিটি বাস আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, যানজটের পাশাপাশি এখন জনজট নতুন উপদ্র্রব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। লোকজন সিগন্যাল মানতে চায় না। হৈ হৈ করে এক সঙ্গে অসংখ্য লোক রাস্ত পারাপার হয়। ফুটপাত দখল হয়ে গেছে। সেখানেও দানবের মতো ছুটে চলে মোটরবাইক।
Advertisement