শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে গতকাল শনিবার দেশে ফিরে গেছেন। নানা দিক থেকেই এই সফরটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এই সফর ভ্রাতৃপ্রতিম দু’টি দেশের সম্পর্ককে আরো নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এমনটিই আশা করা যাচ্ছে।
Advertisement
সফরকালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি ও ১৩টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষতির হয়েছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে ঢাকা সফররত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ও তার উপস্থিতিতে এ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুই দেশের কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসাবিহীন চলাচলের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবী করুনানায়েকে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ও কৃষি খাতে সহযোগিতা, উচ্চ শিক্ষা, বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, উভয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে, পররাষ্ট্র সেবা বিষয়ক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বিস’ ও শ্রীলঙ্কার এলকেআইআইআরএসএস এর মধ্যে এবং রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র, দু’দেশের মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান, সংবাদ সংস্থা এবং চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ফ্যাশন ইনস্টিটিউট ও শ্রীলঙ্কা টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল ইনস্টিটিউটের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়।
শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী একটি দেশ। নানা দিক থেকেই দীর্ঘদিন ধরে দুটি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বিরাজ করছে। উভয় দেশই দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা সংস্থা সার্কের সদস্য। সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক নানা দিক থেকেও রয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। কিন্তু বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এখনো কাঙ্খিত মাত্রায় উন্নীত হয়নি সম্পর্ক। এক্ষেত্রে উদ্যোগের অভাবও রয়েছে। এই সফরের মধ্য দিয়ে সে ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মুক্ত হল- এমনটি বলা যায়।
বাংলাদেশ এখন নানা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আঞ্চলিক এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা ছাড়া এগিয়ে যাওয়া বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় অসম্ভব এক ব্যাপার। শ্রীলঙ্কাও এই বাস্তবতার বাইরে নয়। তাই দুটি দেশকেই পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আশা করবো দুটি দেশই তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নতুন সম্পর্কের সেতুবন্ধনে এগিয়ে যাবে।
Advertisement
এইচআর/পিআর