হাশিম আমলা আর কুইন্টন ডি ককের দারুণ ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল নটিংহ্যামের টেন্ট ব্রিজে বড় স্কোরই গড়তে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা; কিন্তু শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের কিছুটা ব্যর্থতার কারণেই বলতে গেলে ৩৩৫ রানেই থেমে গেলো প্রোটিয়াদের ইনিংস। জেমস অ্যান্ডারসন আর স্টুয়ার্ট ব্রড যথারীতি আগুন ঝরালেন।
Advertisement
প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৯। ভারনন ফিল্যান্ডার ব্যাট করছিলেন ৫৪ রানে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আর বেশিদুর এগুতে পারেননি ফিল্যান্ডার। ৫৪ রানেই ফিরে গেলেন। ক্রিস মরিস দিন শেষ করেছিলেন ২৩ রানে। আজ ইনিংসের সঙ্গে যোগ করেছিলেন আর মাত্র ১৩ রান। ৩৬ রান করতে পেরেছিলেন তিনি।
নির্ভরতার প্রতীক এই দুই ব্যাটসম্যান দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার পর কেশব মাহারাজ এবং মরনে মর্কেলের ওপর আশা করাটাই ছিল বোকামি। সেটাই হলো, তারা দু’জন দ্রুত ফিরে যাওয়ায় প্রোটিয়াদের ইনিংস শেষ হয়ে গেলো ৩৩৫ রানে।
৭২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ২২তমবার ৫ উইকেট শিকার করলেন ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। ৪৭০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শুরু করার অ্যান্ডারসনের মোট শিকার এখন ৪৭৫ উইকেট। ৬৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড। বাকি দুই উইকেট নেন বেন স্টোকস।
Advertisement
জবাব দিতে নেমে কোণঠাসা স্বাগতিক ইংল্যান্ডও। অধিনায়ক জো রুট দাঁড়াতে না পারলে তো রীতিমত লজ্জাতেই পড়তে হতো। ৩ রানের মধ্যেই ফিরে যান দুই ওপেনার অ্যালিস্টার কুক এবং কিটন জেনিংস। কুক ৩ রান করলেও খাতাই খুলতে পারেননি জেনিংস। এরপর ৮৩ রানের জুটি গড়েন জো রুট আর গ্যারি ব্যালান্স। ২৭ রান করে ব্যালান্স আউট হয়ে গেলেও ৭৮ রান করেন রুট।
দলীয় ১৪৩ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে যান জো রুটও। ইংলিশদের ওপর মূলতঃ আক্রমণ শানান মরনে মর্কেল আর ভারনন ফিল্যান্ডার। দু’জনই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এ রিপোর্ট লেখার সময় উইকেটে টিকেছিলেন জনি বেয়ারেস্ট ৩৭ রানে এবং বেন স্টোকস শূন্য রানে। দলীয় রান ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬০। এখনও ১৭৫ রান পিছিয়ে ইংল্যান্ড।
আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement