বিনোদন

আমাদের ফিল্মে ভিনদেশের দালাল ঢুকে গেছে : ডিপজল

টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে এফডিসিতে আয়োজিত এক মতবিণিময় সভা অনুষ্ঠিত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) । এসময় ডিপজল বলেন, ‘টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের সবাইকে নিয়ে একটা ফেডারেশন করলে আমরা বাঁচতে পারবো। ফিল্মটা থাকবে। ইন্ডাস্ট্রিটা ধ্বংস হবে না। এই ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস করার জন্য অনেক পরিকল্পনা চলছে। এখানে ভিনদেশের দালাল ঢুকে গেছে।’

Advertisement

তিনি নিজের বক্তব্যে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ৫০টি সিনেমা প্রজেক্টর দেবে। আমি বলছি, আমি নিজেই ১০০ হলে প্রজেক্টর দেব ইনশাল্লাহ। আর আপনাদের (চলচ্চিত্র পরিবার) যে কোনো সহায়তায় আমি পাশে আছি।’

জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজকে ইঙ্গিত করে প্রযোজক ও অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল আরও বলেছেন, ‘সিনেমা হল কারোর বাপের না। ১০০ সিনেমা হলে প্রজেক্টর বসাইছে বলে সিনেমা হল উনার নাকি? উনার ইচ্ছা হইলে সিনেমা চলবে, না হইলে চলবে না, এটা বললে হবে না।’

‘চাচ্চ’ ছবির এই অভিনেতা বলেন, ‘প্রজেক্টর বসাইছে, যার ছবি যাবে তার ছবিই চালাতে হবে। এটা কারোর বাপের জমিদারি না যে, আপনি না করে দেবেন অমুকের ছবি চলবে না। আমি দেখবো আপনার সিনেমা হলে ছবি চলে কিভাবে?’

Advertisement

বৃহস্পতিবারের এ মতবিনিময় সভায় ডিপজল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক ফারুক, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সহসভাপতি রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, টেলিভিশন শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ইরেশ যাকের, ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েত, সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীক, চিত্রপরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, নির্মাতা মোহাম্মদ হোসেন জেমি প্রমুখ। 

সভা শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় চলচ্চিত্র-টিভি নাটকের কলাকুশলী মিলে প্রাথমিকভাবে একটি ঐক্যজোট গঠন তৈরি করা। যার নাম হবে ‘চলচ্চিত্র-টেলিভিশন ঐক্যজোট’।

এনই/এলএ/জেআইএম

Advertisement