দেশজুড়ে

১০ দিনে রাজশাহীতে ২৬৮ গোখরা

৪ জুলাই থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত গত দশ দিনে রাজশাহী নগরী, পবা, তানোর, দুর্গাপুর, মোহনপুর এবং বাগমারায় ২৬৮ টি বিষধর গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে ১৮৮টি ডিম। 

Advertisement

বাড়ির শোবার ঘর, গোয়ালঘর, রান্নাঘর এমনকি বারান্দায় মিলেছে এসব সাপ। সাপগুলোর অধিকাংশই বাচ্চা। ইঁদুরের গর্তে বাসা বেঁধে বাচ্চা ফুটিয়েছিল গোখরা। আতঙ্কিত গৃহকর্তারা গর্ত খুঁড়ে বের করে মেরে ফেলেছেন সাপগুলো। তখনই নষ্ট করে পুতে ফেলা হয়েছে উদ্ধার করা ডিম।

সর্বশেষ রাজশাহীর চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের গ্রামশিবপুর এলাকার মেহেদি হাসানের বাড়ির শোবার ঘর থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল ও আজ শনিবার সকালে দুই দফায় ১২টি গোখরা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসময় মা গোখরাটি পালিয়ে গেছে। উদ্ধারের পর সবগুলো সাপই পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন আতঙ্কিত লোকজন। এনিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গৃহকর্তা মেহেদি হাসান জানান, শুক্রবার দুপুরের পর শোবার ঘরের দরজার কাছে একটি গোখরা সাপের বাচ্চা দেখতে পান। পরিবারের লোকজন মিলে সেটি মেরে ফেলেন। এর কিছুক্ষণ পর ঘরের শোবার ঘরের খাটের নিচে আরেকটি বাচ্চা গোখরা পাওয়া যায়। সেটিও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।

Advertisement

খোঁজাখুঁজির পর ঘরের কোণে ইঁদুরের গর্ত পাওয়া যায়। সেখান থেকে পাওয়া আরো ৪টি বাচ্চা গোখরা। সাপ আতঙ্কে সারা রাত কেউ ঘুমাতে পারেননি।

মেহেদি হাসান আরো জানান, শনিবার সকালে একই গর্তে একটি মা গোখরা দেখেন বাড়ির লোকজন। পরে ওঝা ডেকে খোঁড়াখুঁড়ির পরও তার সন্ধান মেলেনি। তবে ওই গর্তে আরো ৬টি বাচ্চা গোখরা পাওয়া গেছে। পরে সেগুলোও মেরে ফেলা হয়েছে।

ফেরদৌস সিদ্দিকি/এফএ/এমএস

Advertisement