আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সরকার সমঝোতায় আসতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
Advertisement
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবি শীর্ষক প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন। সভার আয়োজন করে ঢাকাস্থ সেনবাগ জাতীয়তাবাদী ফোরাম।
মওদুদ আহমেদ বলেন, গণতন্ত্রহীন এই শাসনকাল আমাদের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আজকে ক্ষমতায় আছেন, যতদিন আছেন ততদিন ভালোই লাগে এবং মনে হয় কোনোদিন ক্ষমতা থেকে চলে যেতে হবে না। দেশে কোনো সরকারই তো শেষ সরকার হতে পারে না। একবার তো বিদায় নিতেই হবে।
তিনি বলেন, তবে তাদের (আওয়ামী লীগের) বিদায়টা কেমন হবে, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। বিদায়টা যেন সম্মানজনক হয়, আশা করি সেটা প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করে দেখবেন। বিদায়টা যেন সম্মানের সহিত হয়। কোনো অপমান, লাঞ্ছনা, লজ্জা, নিগ্রীত অবস্থা যেন না হয় সেদিকে নজর রেখে আমি বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনের জন্য সরকার (বিএনপির সঙ্গে) একটি সমঝোতায় আসতে বাধ্য হবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, সরকার যদি সমঝোতায় না আসেন, যদি সেই সৎ বুদ্ধি না হয়ে থাকে তাহলে আমাদের আন্দোলনের কোনো বিকল্প থাকবে না। আমরা না করতে চাইলেও দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে। তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এবং তারা নিজেদের উদ্যোগে আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে সমাবেত হবে।
ভোট দিতে না পারায় দেশের মানুষের মধ্যে গভীর ক্ষোভ বিরাজ করছে দাবি করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১৫৪টি আসনের প্রায় ৫ কোটি ভোটার ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে নাই। আজকে সরকারে যারা আছেন সবাইতো বিনা ভোটে নির্বাচিত মন্ত্রী এবং নেতা হয়েছেন। ভোটের মাধ্যমে তো হন নাই। সুতরাং দেশের মানুষদের যে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তারা এর প্রতিশোধ নিবে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কখনোই নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে পারবে না যতক্ষণ না দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার থাকবে। যে সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, যেটাকে আমরা সহায়ক সরকার বলি। সহায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন কমিশন যতই রোডম্যাপ দিক এগুলো অর্থহীন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা পছন্দ করি না। এই নির্বাচন কমিশনের উপর আমাদের আস্থা নাই।
Advertisement
বর্তমান আওয়ামী লীগের শাসনকাল গুম, খুন, অপহরণ এবং হত্যার যুগ হিসেবে দেশের ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মো. হারুন-অর-রশিদ এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এমএম/জেএইচ/পিআর