সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের উদ্ধারে শনিবার থেকে অনুসন্ধানী অভিযান শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়া। অভিযানের অংশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমার বাইরেও অভিবাসীবাহী নৌযানের অনুসন্ধান করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজ, দুটি বড় বোট ও একটি টহল বিমান উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ফুয়াদ বাসিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এখনও এমন কোনো নৌযানের সন্ধান তারা পায়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে সাগরে এখনো প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা ভাসছে।ওই মুখপাত্র বলেছেন, আমরা সরকারিভাবে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর কাছ থেকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ পেয়েছি। ইন্দোনেশিয়ার জলসীমা বা আন্তর্জাতিক সমুদ্রে সমানভাবে চলবে এ অভিযান। তিনি বলেন, আমরা অভিবাসীদের উদ্ধার করে তাদের তীরে নিয়ে যাবো। গত শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিবাসীদের বহনকারী নতুন কোন বোট চোখে পড়েনি বলে জানান ওই সেনা মুখপাত্র।এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চলমান অভিবাসী সংকট উত্তরণের জন্য জরুরী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এই অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।এরপর বুধবার কুয়ালালামপুরে জরুরি বৈঠকের পর মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসে এ অভিযান শুরু করে।এর আগে শুক্রবার থেকে মিয়ানমার এবং মালয়েশিয়াও সাগরে অভিবাসীদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এরপরই ২শ` বাংলাদেশিসহ একটি মানবপাচারকারী নৌকা উদ্ধার করে মিয়ানমার পুলিশ। জেআর/এমএস
Advertisement