দেশজুড়ে

পেয়ারা নিয়ে ছাত্রীনিবাসে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ৮

গাছের পেয়ারা পাড়াকে কেন্দ্র করে বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসে ছাত্রলীগের দুই নেত্রী ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

Advertisement

আহতরা হলেন- গণিত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শারমিন আক্তার, একই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মারিয়া হোসেন ও ইসরাত জাহান, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কান্তা ইসলাম এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী মুনিরা আক্তারসহ ছাত্রলীগ সমর্থক আট ছাত্রী।

গুরুতর আহত শারমিন আক্তার, মারিয়া হোসেন ও কান্তাকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসের একাধিক ছাত্রী জানান, ছাত্রলীগের নেত্রী দাবিদার (পদহীন) হেনা আক্তার ও মুনিরা আক্তারের নেতৃত্বে তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা চুলায় ব্যবহৃত লাকরি দিয়ে একে অপরের ওপর হামলা করেন। উভয়ের মধ্যে চুলোচুলি হয়। খবর পেয়ে কলেজের উপ-অধ্যক্ষসহ শিক্ষকবৃন্দ ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। 

Advertisement

কলেজ অধ্যক্ষ স.ম ইমামুল হক জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাস সূত্রে জানা গেছে, মুনিরা আক্তার তার সহযোগীদের নিয়ে বেলা ১১টার দিকে ছাত্রীনিবাসের ২ নম্বর ভবনের সামনের গাছের পেয়ারা পাড়তে যান। এ সময় ২ নম্বর ভবনের বাসিন্দা হেনা আক্তার পেয়ারা পাড়তে বাঁধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে আহত আটজনের মধ্যে গুরুতর শারমিন আক্তার, মারিয়া হোসেন ও কান্তাকে (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মুনিরা আক্তার জানান, ছাত্রীনিবাসে অবৈধভাবে বসবাস করা হেনা তার অনুসারীদের নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। তারা লাকড়ি দিয়ে তাকেসহ শারমিন, মারিয়া, কান্তা ও ইসরাতকে বেধরক পিটিয়েছে। অন্যান্য ছাত্রী ও ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়করা এসে তাদের উদ্ধার করেন।

অপরদিকে হেনা আক্তার জানান, তিনি পরীক্ষা শেষে ছাত্রীনিবাসে ফিরে এসে দেখেন মুনিরা তার অনুসারীদের নিয়ে তার ভবনের (২ নং ভবন) সামনের গাছ থেকে পেয়ারা পাড়ছেন। এ সময় তাদের নিষেধ করা হলে জুনিয়র ছাত্রীরা দুর্ব্যবহার করে। এ কারণে ২ নম্বর ভবনের ছাত্রীরা একজোট হয়ে মনিরাসহ তার কর্মীদের লাকড়ি দিয়ে মারধর করেছে।

Advertisement

সাইফ আমীন/আরএআর/পিআর