কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগণ্ডা এলাকার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার একটি গর্ত থেকে শনিবার সন্ধ্যায় রিপন (২৫) নামের এক যুবলীগ কর্মীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে বিএসএফ ও বিজিবি। নিহত রিপন উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগণ্ডা শালুকিয়া গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক শেষে নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করেছে। স্থানীয় ও বিজিবি সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে সীমান্তবর্তী পিলার ২১০৫ সংলগ্ন ভারতীয় কাঠালিয়া থানার রাজনগর মনু মিয়া মাজারের দক্ষিণে একটি গর্তের মধ্যে এক ব্যক্তির হাত দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনগণ বিজিবিকে খবর দেন। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিবি ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে বিএসএফ ও বিজিবির সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজন গর্ত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করলে নিহতের স্বজনরা মরদেহটি সনাক্ত করেন। নিহত রিপনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি শুক্রবার দুপুরে একটি ফোন কল পেয়ে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে তার পরিবার একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিহত রিপনের গলা ও কান কাটা ছিল। এদিকে মরদেহ হস্তান্তর করতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভারতের রাজনগর ক্যাম্পের বিএসএফ`র কোম্পানি কমান্ডার শ্রী মনোজ কুমার ও বাংলাদেশের ১০নং ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার গোলাম মাওলার উপস্থিতিতে বৈঠক শুরু হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ গ্রহণ করে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ওয়াজিউল্লাহ ভূঁইয়া খোকন ও যুবলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ জাগো নিউজকে জানান, নিহত রিপন স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছেন। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার জাগো নিউজকে জানান, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মো. কামাল উদ্দিন/এমজেড/এমএস
Advertisement