রাজধানী ঢাকাজুড়ে বৃহস্পতিবার ছিল ভয়াবহ যানজট। রাজধানীর সর্বত্রই যাত্রী সাধারণ পড়ে চরম ভোগান্তিতে। কোথাও জলজট, কোথাও যানজট। রাস্তায় খানা-খন্দক ও বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ছিল ধীর গতি। তবে এর মধ্যে ভিন্ন দৃশ্য দেখা যায় মহাখালীতে। রাস্তায় যানজট নিরসন ও যান চলাচলে গতি আনতে রাস্তার সংস্কার কাজে নেমে পড়ে খোদ ট্রাফিক বিভাগ।
Advertisement
মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে সকাল (বৃহ্স্পতিবার) থেকে দুপুর পর্যন্ত ট্রাফিক উত্তরের সহকারী কমিশনার (এসি) আশরাফ উল্লাহর নেতৃত্বে সড়ক সংস্কারের এ কাজ করেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
ট্রাফিক উত্তর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কটি রাজধানীর অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক। গত দুই-তিন মাস ধরে রামপুরা-বাড্ডার সড়কের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য যানবাহনগুলো ওই সড়ক ব্যবহার না করে মহাখালী হয়ে যাতায়াত করছে। তবে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কে বড় বড় গর্ত ও পানি জমে থাকায় যান চলাচল কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত পাঁচ মাসে পাঁচবার সিটি কর্পোরেশনকে চিঠিও দেয় ট্রাফিক পুলিশ। তবে একযোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যস্ত থাকায় এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করতে পারেনি।
Advertisement
এদিকে, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে যান চলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। এর বেগ পেতে হচ্ছিল ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। এ অবস্তায় জনদুর্ভোগ কমাতে ও যানজট নিরসনে মহাখালী ট্রাফিক পুলিশ জোন নিজস্ব উদ্যোগে সড়কটি সংস্কারে কাজ শুরু করে।
সরজমিনে দেখা যায়, মহাখালী ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল তরিকুল, আলফাজ, সার্জন হাসান, অফিস সহকারী কনস্টেবল হুমায়ুন, টিআই সালাউদ্দিন, মাহবুব ও আনসার সদস্যদের নিয়ে সড়ক সংস্কার করেন এসি আশরাফ উল্লাহ।
এ ব্যাপারে আশরাফ উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তাটির গর্ত ভরাট করার কঠিন কাজটি নিজের হাতে তুলে নিতে হয়েছে জনদুর্ভোগ কমাতে। এর আগেও স্বল্প পরিসরে কয়েকবার রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঠিক করেছি।
তিনি আরও বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় রাস্তায় এসে দেখি খানাখন্দ। পরে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে ডেকে এনে রাস্তা মেরামত শুরু করি। রাস্তাটি যান চলাচলের উপযোগী করতে প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে।
Advertisement
এ কাজে পুলিশ সদস্যরা ছাড়াও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারী অটোরিকশা চালকদেরও কাজে লাগানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সড়ক সংস্কারের বিষয়ে সার্জন হাসান বলেন, আশরাফ স্যারের নেতৃত্বে মহাখালী ট্রাফিক জোন এমন সংস্কার কাজ করে আসছে। বিসিএস ক্যাডার হয়েও তিনি শ্রমিকের মতোই নিজে সংস্কার কাজে অংশ নিয়েছেন। এ উদ্যোগের ফলে দুপুরের পর থেকে ওই রাস্তায় যান চলাচলে গতি ফিরে পায়।
জেইউ/এসআর/আরএস/এমএস