দিল্লির মূখ্যমন্ত্রী ভারতের আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিন পূর্ণ হলো আজ। দিল্লি বিধান সভার ৭০ আসনের মধ্যে ৬৭টিতে জয় পেয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। ১০০দিনে কতটা সফল কেজরিওয়াল? এ নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।মূল্যছাড়, ভর্তুকি আর শহরের মধ্যে অটোরিকশা চালানোর মতো প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও কেজরিওয়াল তাঁর এলাকার জনগণকে এখন পর্যন্ত খুশি রাখতে পেরেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া এই নেতা কিছুটা হলেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুতের দাম অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। প্রতি পরিবারের জন্য বিনা মূল্যে ৭০০লিটার পানি সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও তিনি দিয়ে রেখেছেন। দিল্লিকে সৌরবিদ্যুতের শহর বানাতে দিল্লি ডায়ালগ কমিশন পরিকল্পনা খতিয়ে দেখছে। পানি মাফিয়াদের ধরতে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ দেওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বিদ্যালয়গুলোতে উচ্চ হারের ফি নিয়ন্ত্রণের বিলটি আগামী বাজেট অধিবেশনে পাস হতে পারে। এ ছাড়া ইশতেহার অনুযায়ী ৫০০ সরকারি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার কথা। সে লক্ষ্যে ৩০টি মডেল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ডিডাব্লিউডিকে বলা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য জনপরিসরে ও বাসে সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। নারী রক্ষা বাহিনী গঠন ও সুরক্ষা বাটনের কাজও এগিয়ে চলছে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে হোম গার্ডদের। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বাসে নিয়োগ করা হবে। ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে সুরক্ষা বাটনকে যুক্ত করা হচ্ছে। এ বছরের শেষের দিকে এটি কার্যকর হতে পারে। চুক্তিভিত্তিক পদগুলোকে বিধিসম্মত করতে নীতিগত কাজ চলছে। চূড়ান্তভাবে কাউকে নিয়োগের আগে কাউকে চুক্তিভিত্তিক পদ থেকে না সরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, দুই লাখ গণশৌচাগার তৈরির কাজের একটিও এখনো করা না হলেও জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। দিল্লির নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা ব্লক বরাদ্দ জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সমন্ব্বিত পরিবহন কর্তৃপক্ষের কোনো কাজই হয়নি। বাসের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি থাকলেও এ সেবা বাড়ানোর কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়। জেআর/এমএস
Advertisement