দেশের বাজারে চাল না ছেড়ে অসাধুভাবে মজুদ করেছেন চাল কল মালিকরা। এতে বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। এমন অভিযোগে ১৬ হাজার চাল কল মালিককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। আগামী তিন বছর এসব চাল কল মালিকের কাছ থেকে চাল না কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যেসব চাল মিল মালিকরা অসাধুভাবে চাল মজুদ করেছেন, বাজারে দাম বাড়ানোর ভূমিকা রেখেছে; তাদের আমরা কালো তলিকাভুক্ত করছি। এরকম মিল মালিকের সংখ্যা ১৬ হাজার। আগামী তিন বছর এসব মিল মালিকদের কাছ থেকে সরকার চাল কিনবে না।
বন্যার প্রভাবে চালের উৎপাদন কমবে অনেক আগেই এমন আশঙ্কার পরও কেন এত দেরিতে চাল আমদানি করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা যথাসময়ে চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা ট্যারিফ উঠিয়ে দেয়ার জন্য আগেই চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের কথা চিন্তা করেছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষকদের এক মণ চাল উৎপাদন করতে ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা খরচ হয়। প্রধানমন্ত্রী ওই চিন্তাটাই করেছেন, যেন কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পায়। এজন্য তিনি ট্যারিফটা দেরিতে উঠিয়েছেন। ট্যারিফ ওঠানোর প্রভাবে চালের বাজার এখন নিম্নমুখী।
ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি অনুযায়ী ২০ হাজার মেট্রিক টনের প্রথম চালান চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। চলতি মাসের ২৪ তারিখ আরও এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল আনা হবে। এছাড়া আগস্টে আরও সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করার কথা রয়েছে।
এমইউএইচ/আরএস/এসআর/জেআইএম
Advertisement