ধর্ম

তাওবা কবুল ও ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কসম! আমি দৈনিক সত্তর বারের অধিক আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি ও তাওবা করি। (বুখারি)

Advertisement

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন নিষ্পাপ মাছুম। কুরআনুল কারিমে তাঁর আগের ও পরের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তারপরও প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন সত্তর বারের অধিক, কোনো বর্ণনায় একশত বারের অধিক ক্ষমা প্রার্থনা ও তাওবা করতেন।

অন্য বর্ণনায় এসেছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আমার অন্তরে মরিচা পড়ে আর (তা সাফ করার জন্য) আমি দৈনিক একশতবার তাওবা তথা ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ বলি। (মুসলিম)

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা মূলতঃ ছিল তাঁর উম্মতের জন্য শিক্ষা। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর নিকট তাওবা করতেন; পাশাপাশি তাওবা কবুলের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করতেন।

Advertisement

বিশ্বনবির তাওবা ও তা কবুলের দোয়াটি সবার জন্য তুলে ধরা হলো-

হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি একই মজলিশে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইসতেগফার একশত বার গণনা করতাম। তিনি বলেছেন-

উচ্চারণ- ‘রাব্বিগফিরলি, ওয়া তুব আলাইয়্যা, ইন্নাকা আংতাত তাওয়াবুল গাফুর।’

অর্থ : পরওয়াদেগার! তুমি আমাকে মাফ কর এবং আমার তাওবা কবুল কর। কেননা তুমি হলে তাওবা কবুলকারী এবং ক্ষমাকারী। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও মিশকাত)

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ‘ক্ষমা ও তাওবা’ কবুলে হাদিসে উল্লেখিত প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শেখানো দোয়াটি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর