কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর চলমান সংকট নিরসনে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। বুধবার জেদ্দায় সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তিনি।
Advertisement
এর আগে গত মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানির সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দোহায় যৌথভাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এছাড়া কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
উপসাগরীয় দেশগুলোতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সৌদি বাদশাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার রেক্স টিলারসন বলেন, আমি মনে করি কাতার তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে এবং সেটা যুক্তিসঙ্গত বলেও মনে হয়েছে।
Advertisement
জঙ্গিবিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার যৌথভাবে তহবিল গঠনে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে কাতারের সেই তহবিলকে অপর্যাপ্ত হিসেবে বিবৃতি দিয়েছে সৌদি, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এ সম্পর্কে আবদুলরহমান আল-থানি বলেছেন, চলমান সংকটের মধ্যে দেশগুলোর এ ধরনের অভিযোগের ব্যাপারে কিছু বলার নেই।
কাতারের সংকট নিরসনে চারদিনের সফরে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সূচি অনুযায়ী দোহা সফরের পর সৌদি আরবে গেছেন তিনি। সেখানে সৌডিদ নেতৃত্বাধীন চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থন, অর্থায়ন ও লালন-পালনের অভিযোগে গত ৫ জুন সৌদি আরবের নেতৃত্বে চারটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এছাড়া মালদ্বীপ, সেনেগালসহ আরো পাঁচটি দেশ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে এনেছে। তবে কাতারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে দোহা।
Advertisement
এর আগে সোমবার কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন রেক্স টিলারসন। তিনি বলেন, আমরা এমন একটা ইস্যুর ব্যাপারে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছি; যা কেবল আমাদের নয়, সারাবিশ্বের ভাবনার ব্যাপার।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, টিলারসনের বিশ্বাস তাৎক্ষণিকভাবে এটার সমাধান সম্ভব নাও হতে পারে। এর জন্য কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। তবে সংকট নিরসনের জন্য সম্ভাব্য সকল উপায়ে চেষ্টা করবেন তিনি।
গত ২২ জুন সৌদি জোটের পক্ষ থেকে সংকট নিরসনে কাতারকে ১৩টি শর্ত দেয়া হয়। শর্ত পূরণের জন্য বেঁধে দেয়া হয় মাত্র ১০ দিন। এরমধ্যে কাতারের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম আল জাজিরা বন্ধ করে দেয়া ছিল অন্যতম শর্ত। সেই দাবিগুলো নাকচ করে দিয়েছে কাতার। মধ্যপ্রাচ্যের এ সংকট সমাধানে সমঝোতার চেষ্টা করছে কুয়েত।
সূত্র : আল-জাজিরা।
কেএ/এসআইএস/আরআইপি