দেশজুড়ে

বন্যায় গাইবান্ধার ১৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

বন্যা কবলিত গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। এ ছাড়াও বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় জেলার চার উপজেলার ১৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় ১৩২টি স্কুল ও মাদরাসা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকের ১২৩টির মধ্যে সুন্দরগঞ্জে ১৫টি, সদরে ১৯টি, ফুলছড়িতে ৫৯টি এবং সাঘাটা উপজেলায় ৩০টি। মাধ্যমিকের ৯টির মধ্যে সদরে একটি স্কুল ও একটি মাদরাসা, ফুলছড়িতে চারটি স্কুল ও দুইটি মাদরাসা ও সাঘাটায় একটি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার দুপুর পর্যন্ত নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ১২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিকক্ষে পানি উঠেছে। এ ছাড়া আরও বেশকিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে বিদ্যালয়গুলোকে খুলে দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে।

বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। এ বিষয়ে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কলিম উদ্দিন নিউজকে বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, টিউবওয়েল উঁচু করার জন্য লোহার পাইপ, ১৪টি হাইজিন সামগ্রীর একটি প্যাকেট ও ব্লিচিং পাউডার বিতরণ এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নলকূপ ও অস্থায়ী ল্যাট্রিন শেড স্থাপনের জন্য সেগুলো উপজেলাগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে সেগুলো বিতরণ ও স্থাপন করা হবে। বুধবার সকাল থেকে রংপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করছেন।

Advertisement

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জাগো নিউজকে বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ কর্মস্থলের বাহিরে না যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা বন্যা ব্যবস্থাপনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন।

বন্যায় জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের চারটি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৮১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রওশন আলম পাপুল/আরএআর/জেআইএম

Advertisement