আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু কেনা-বেচার জন্য এবার রাজধানীতে ২২টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এরই মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় নয়টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৩টি মিলিয়ে মোট ২২টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকার অস্থায়ী হাটসহ সারাদেশের পশুর হাটগুলো জমজমাট হয়ে ওঠে।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর রাজধানীতে সম্ভাব্য পশু কোরবানির সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৬১ হাজার ৪১০টি। আগের বছর যা ছিল তিন লাখ ৪১ হাজার ৪১০টি। এ হিসাব অনুযায়ী এ বছরও কোরবানির পশু বেচাবিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
Advertisement
ডিএসসিসি সূত্রে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী, এ বছর ১৩টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে- মেরাদিয়া বাজার, উত্তর শাহজাহানপুর-খিলগাঁও রেলগেট বাজার সংলগ্ন মৈত্রী সংঘের মাঠ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠ, কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের খালি জায়গা, জিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধসংলগ্ন জায়গা, আরমানিটোলা খেলার মাঠ ও আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠ এবং সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল ও সংলগ্ন খালি জায়গা।
অন্যদিকে ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তারা মোট নয়টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে আছে- কুড়িল, বসিলা, মিরপুর ডিওএইচএস, উত্তরার ১৫নং সেক্টর, খিলক্ষেত বনরূপা, আশিয়ান সিটি, ভাটারার সাঈদনগর, আফতাব নগর ও মিরপুরের ৬নং সেকশন।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, নাগরিক দুর্ভোগসহ নগরীর রাস্তাঘাট যাতে অপরিষ্কার না হয় এবং পশু আনা-নেয়ার ফলে যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় সে বিষয় এবার বিবেচনা করা হয়েছে। এ কারণে কোরবানির পশুর হাটের জন্য এ বছর পুরাতন কয়েকটি জায়গা বাদ দিয়ে হাটের নতুন স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বাকিগুলো আগের স্থানেই বসবে।
ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটের কারণে যেন রাস্তাঘাট অপরিষ্কার না হয় এবং যানজট সৃষ্টি না হয়, তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এছাড়া হাটের নির্ধারিত স্থানের বাইরে এবার কোনোভাবেই পশু রাখতে দেয়া হবে না।
Advertisement
এদিকে, এবার যেন পশুর হাট নিয়ে নাগরিক ভোগান্তি কমে সে আশা সাধারণ মানুষেরও। হাবিবুর রহমান মৃধা নামে রাজধানীর এক বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা চার ভাই মিলে প্রতি বছর বিভিন্ন কোরবানির হাট থেকে চারটি করে গরু কিনি। কিন্তু সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিষয়গুলো মাথায় রেখে হাট কর্তৃপক্ষ যেন ব্যবস্থা নেয়- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি আরও বলেন, পশুর হাটের চাঁদাবাজিও বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং সিসি ক্যামেরা থাকলে ক্রেতারা কিছুটা হলেও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।
এএস/এমএমজেড/এসআর/জেআইএম