পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
Advertisement
বুধবার সকাল থেকে বাহাদুরাবাদ ৬ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ জামালপুর জেলার সবগুলো নদীর পানি বেড়েছে। ফলে ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি ও জামালপুর সদরের আরো ১৫টি ইউনিয়ন নতুন করে বন্যা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে টানা বন্যায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দুর্গত অনেক মানুষের ঘরেই খাবার নেই। তার উপর নিজেদের গবাদী পশুর খাবার জোটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গেল কয়েক দিনে ৯০ মে. টন চাল, ৩ হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও দেড়লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বলে অভিযোগ দুর্গতদের।
অপরদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোশায়ের-উল-ইসলাম জানিয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকায় ৭৭টি মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে।
Advertisement
জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাসেল সাবরিন জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ হিসেবে চাল, শুকনো খাবার এবং নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ মজুদ রয়েছে এবং নিয়মিত বিতরণ করা হচ্ছে।
শুভ্র মেহেদী/এফএ/এমএস