জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৬৩৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম এবং আইএইডির সচিব মফিজুল ইসলাম।
প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৩৯৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫৭ কোটি ৩ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪৩০ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
Advertisement
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, গত অর্থবছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়িত হয়েছে সর্বোচ্চ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হলে সেটি অনুমোদন না দিয়ে ফেরত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ ও ঢাকায় বিচ্ছিন্নভাবে না করে সমন্বিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়ন করতে হবে। এজন্য ৭ দিনের মধ্যে জমি খুঁজতে হবে। যত টাকা লাগে তা দেয়া হবে। এছাড়া নদী ড্রেজিংয়ে ভারতের সঙ্গে যৌথ নদী কমিশন আলোচনা করে ভারতের কাছ থেকে টাকা নেয়া যায় কিনা। তাছাড়া যেসব জেলায় এক্সপ্রেসওয়ে হবে সেসব জেলায় টোলভিত্তিক করা প্রয়োজন।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম শহরের লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল সড়ক উন্নয়ন ইসলামপুর খেয়াঘাট প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। জামালপুর জেলার তিনটি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও এনভায়রমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতীকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিয়ায়েবিলিটি অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। নরসিংদী জেলার অন্তর্ভুক্ত আড়িয়াল খাঁ নদ, হাড়িদোয়া, ব্রহ্মপুত্র, পাহাড়িয়া, মেঘনা শাখা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ পুনঃখনন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হযেছে ৫০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সীমান্ত নদী তীর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কৃষি শুমারি ২০১৮ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। পাইকগাছা কৃষি কলেজ স্থাপন, খুলনা প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১০১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড এ্যালায়েড সায়েন্সে ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, দিনাজপুর ও রংপুর এর সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হযেছে ২১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
এমএ/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement