ডান হাতে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে আড়ালে থাকা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবাইশা গ্রামের ১২ বছরের কিশোরী মুক্তা মনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে।
পরে ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক ডা. শামন্ত লাল সেন এবং বার্ন ইউনিটের বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ প্রাথমিকভাবে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
ঢামেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার মুক্তা মনির চিকিৎসার বিষয়ে একটি বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Advertisement
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুক্তার এই বিরল রোগের খবরটি উঠে আসে। তার ডান হাতটি অনেকটা গাছের বাকলের মতো হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললেও অর্থের অভাবে দরিদ্র বাবার পক্ষে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি।
তবে গত ৯ জুলাই জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর মুক্তাকে সরকারিভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
রোববার জাগো নিউজ প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপকালে মুক্তা বলে, ‘আমি সুস্থ হয়ে স্কুলে যেতে চাই। আমার বন্ধুরা আমাকে দেখলে ভয়ে পালিয়ে যায়। এখন আর কাছে আসতে চায় না। আমি ভালো হতে চাই।’
Advertisement
মুক্তার বাবা মুদি দোকানি ইব্রাহিম জানান, মুক্তা স্থানীয় কামারবাইশা প্রাইমারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তিন বছর আগে অন্যান্য শিশুদের মতো স্বাভাবিক ছিল সে। নিয়মিত স্কুলে যেত। তিন বছর আগে তার ডান হাতে ছোট একটি ফোড়ার মতো হয়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে হাতটি বৃক্ষের ছালের মতো হয়ে যায়। বর্তমানে তা হাত থেকে বুকের আশপাশেও ছড়িয়েছে।
এআর/এসআর/পিআর