সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাত থেকে চলে যাওয়ায় সরকারের মাঝে এক বিমর্ষভাব তৈরি হয়েছে এবং হতাশা জন্ম নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
Advertisement
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির কারাবন্দী যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে একই দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আসলাম চৌধুরী মুক্তি পরিষদের মানববন্ধনে পুলিশ বাধা দেয়ায় তাৎক্ষণিক ডিআরইউতে এই প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়।
Advertisement
রিজভী বলেন, এই সরকার শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনকালকে অন্যায় এবং অন্যায্য বলছে। জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদশের স্বাধীনতার বাঁশিত ফুঁ দেয়ার লোক মিলতো না। একদলীয় শাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশে থাকতো না।
তিনি বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। তাই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আসলে ভোটারবিহীন সরকার ভোটাধিকারবিহীন ভাবেই ক্ষমতায় থাকতে চায়।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণের ক্ষমতায় সংসদের হাত থেকে চলে যাওয়ায় সরকারের মাঝে এক বিমর্ষভাব ও হতাশার জন্ম হয়েছে। এখন তারা আতঙ্কে আছে আবার সামনে কোনো বিপদের মুখে না পড়ি!
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ইসরাইলের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার অপরাধে আসলাম চৌধুরীকে কারগারে আটকে রাখা হয়েছে। পৃথিবীর বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের লোক আসে। সেখানে অনেকের সঙ্গেই কথা হয়। তাহলে আসলাম চৌধুরীর অন্যায়টা কি?
Advertisement
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে পুলিশী বাঁধার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, এই সরকারের পুলিশ বলছে মানববন্ধন করলে নাকি প্রধানমন্ত্রীর চলাচলে বিঘ্ন হবে। এখানে প্রধানমন্ত্রীর অসুবিধা কি হবে?
অধ্যাপক জসীম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন আলাল, কেদ্রীয় নেতা কাদের গনি চৌধুরী, শফিউল বারী বাবু, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সুশীল বড়ুয়াসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এমএম/এমএমজেড/জেআইএম