আন্তর্জাতিক

মসুল জয়ে ইরাকি বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

ইরাকের মসুলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে ইরাকি বাহিনীর বড় জয়ে অভিনন্দন জানাতে প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি ওই শহরে পৌঁছেছেন। মসুলে ইরাকি সেনাদের এমন বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। আন্তর্জাতিক জোটের যে সেনারা মসুল বিজয়ে সাহায্য করেছে তার মধ্যে ফরাসি সেনারাও ছিল। খবর বিবিসির।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মসুলকে মুক্ত ঘোষণা করে সেনা বাহিনীর বিজয় সূচিত করতেই প্রধানমন্ত্রী সেখানে গেছেন।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার সাহায্য নিয়ে ইরাকি বাহিনী গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকেই মসুলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছিল।

২০১৪ সালের জুন মাসে আইএস জঙ্গীরা ওই শহরটি দখল করে নেয় এবং ইরাক ও সিরিয়া জুড়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়।

Advertisement

কুর্দি পেশমেরগা, সুন্নি আরব উপজাতীয় যোদ্ধা ও শিয়া মিলিশিয়ারাও মসুল পুনদর্খলের লড়াইয়ে যুক্ত ছিল।

রোববার মসুলে ইসলামিক স্টেটের চূড়ান্ত পরাজয়ের পরই সেনাবাহিনী ও ইরাকি জনতাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

মসুলের কাছে একটি ছোট্ট এলাকায় জঙ্গিরা নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করে ছিল। সেই ক্ষুদ্র পকেটগুলো দখল করতেই ইরাকি সেনারা গত কয়েকদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছিল।

রোববারও গোলাগুলির বিক্ষিপ্ত আওয়াজ শোনা গেছে মসুলের নানা প্রান্তে, ধোঁয়ার কুন্ডলী ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।

Advertisement

সরকারি গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ইরাকি সেনাদের অভিযানের মুখে ৩০ জঙ্গী টাইগ্রিস নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে গিয়ে মারা গেছে।

সরকার গত জানুয়ারিতেই ঘোষণা করেছিল মসুলের পূর্বপ্রান্ত পুরোপুরি মুক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু শহরের পশ্চিমাঞ্চল, যেখানে সরু ও আঁকাবাঁকা বহু রাস্তা আছে সেটাই সেনাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছিল।

ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত মসুল থেকে প্রায় নয় লাখ মানুষ পালিয়েছেন। যুদ্ধের আগে শহরটির যে জনসংখ্যা ছিল এটি তার প্রায় অর্ধেক।

তবে মসুলে পতন মানেই ইরাকে আইএসের পতন হয়েছে তা নয়। কারণ এখনও দেশের অনেক এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাতেও তারা বোমা হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে।

তিন বছর আগে জঙ্গীদের হাতে যে শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল ইরাকি সেনারা অবশেষে তার বদলা নিতে পারলেও এর জন্য তাদের অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। মসুল শহরের প্রায় অনেক কিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে।

টিটিএন/জেআইএম