আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গকে আরেকটি কাশ্মির বানাচ্ছেন মমতা : বিজেপি

পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে চলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জেরে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বলেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ আরেকটি কাশ্মির হয়ে উঠছে। রোববার ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement

বিজেপি নেতা মিনাক্ষ্মী লেখি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মানুষ এখন আর নিরাপদে নেই।

তিনি বলেন, আমি বলতে চাই যে, কাশ্মির হওয়ার পথে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অনেককে হত্যা করা হচ্ছে, মানুষ আর নিরাপদে নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করে ভারতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।

একই ধরনের মন্তব্য করেছেন বিজেপির আরেক নেতা সত্যপাল সিং। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উৎসাহ দিচ্ছে।

Advertisement

সত্যপাল সিং বলেন, মমতা ব্যানার্জির ভুল নীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গ পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে। পরিচয় হারিয়েছে রাজ্য পুলিশ। যদি পরিস্থিতি দ্রুত স্থিতিশীল না হয়, তাহলে দেশের জন্য এটা ভালো হবে না। আমাদেরকে বশিরহাট ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়নি। এর মাধ্যমেই বুঝা যায়, বাস্তবতা এবং ঘটনা আড়াল করতে চায়। তিনি সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদদ দিচ্ছেন।

শনিবার দেশটির কেন্দ্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অন্তত চারটি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার বিএসএফ-কে ফেরত পাঠিয়েছে। পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে অশান্ত দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে বিএসএফের ১১টি কোম্পানি পাঠানো হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে, রোববার পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যে উত্তেজনা তৈরি করতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্যের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি। পরে তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীকে যথাসময়ে মোতায়েন করা হয়নি; যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে সহিংসতা তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাটে এক যুবক ফেসবুকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে আপত্তিকর একটি পোস্ট দেয়ার পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকেই দফায় দফায় রাজ্যের বাদুরিয়া, বশিরহাট, হাওড়া, স্বরূপনগর ও দেগঙ্গায় লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।

Advertisement

সূত্র : এএনআই, এনডিটিভি।

এসআইএস/জেআইএম