সময়টা বর্ষাকাল হলেও রোদের দাপট কিন্তু একটুও কমেনি। বৃষ্টি ঝরে গেলেই গনগনে রোদ তার দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। আর এতে করে আমাদের ত্বকের পাশাপাশি প্রভাব পড়ছে আমাদের চোখেও। নানা কাজে আমাদের প্রতিদিনই বাইরে বের হতে হয়। সেইসঙ্গে রোদ আর ধুলোবালি তো রয়েছেই। এসবকিছু হাত থেকে আমাদের চোখকে রক্ষা করতে চাই সঠিক যত্ন।
Advertisement
দিনের বেলা ঘরের বাইরে বের হলে চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত। এটা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে আপনার চোখের লেন্স কে রক্ষা করবে। এছাড়াও রাস্তার ধুলাবালি থেকে চোখের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
একটানা অনেকক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করার ফলে চোখের চারপাশ কালো হয়ে যায়, চোখের জ্যোতি কমে আসে। তাই একটানা কাজ না করে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে কাজ করলে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
চোখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে অবশ্যই ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সবুজ শাক-সবজি আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার রাখবে।
Advertisement
এই সময়ে অনেকের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তবে এ সময়টায় শুধু ত্বকই নয়, চোখও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ভেজা ভাব বজায় থাকে এমন চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এসব ড্রপ সাধারণত প্রিজারভেটিভ মুক্ত হয়। তবে যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এয়ার কন্ডিশনারের (এসি) বাতাসে চোখ অনেক বেশি শুষ্ক ও স্পর্শকাতর হয়ে যেতে পারে। তাই এসিতে থাকলে এমন জায়গায় অবস্থান করুন যেখান থেকে বাতাস সরাসরি চোখে না লাগে।
এই সময়ে চোখের যেসব সমস্যা খুব বেশি পরিলক্ষিত হয় সেগুলো হচ্ছে- চোখ শুকিয়ে যাওয়া, গ্লুকোমা এবং রেটিনাপ্যাথি। তাই নিয়মিত চোখের চেকাপ করা অত্যন্ত জরুরি।
চোখের সাজে প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই মেয়াদ আছে কিনা এটা দেখে নিন।
Advertisement
শতকরা ৫০ জন মহিলা গর্ভাবস্থায় ব্লাড সার্কুলেশন ও হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চোখের সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই গর্ভাবস্থায় চোখের প্রতি আরো যত্নবান হওয়া উচিৎ।
এইচএন/আরআইপি