কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, বিগত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) সার বাবদ ৩৪৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
Advertisement
রোববার জাতীয় সংসদে মো. আব্দুল মতিনের (মৌলভীবাজার-২) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপি ও এমএপি সার আমদানি করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বিসিআইসি কর্তৃক ইউরিয়া আমদানি করা হয়। বিএডিসি ও বেসরকারি আমদানিকারকদের মাধ্যমে নন-ইউরিয়া (টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি) সার আমদানি করা হয়ে থাকে। সারের আমদানি মূল্য এবং ডিলারদের নিকট সরকার নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের পার্থক্য ভর্তুকি হিসেবে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে।
মতিয়া চৌধুরী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সৌদি আরব, চীন ও কাতার থেকে ১১৮২ কোটি ১৮ লাখ টাকার ইউরিয়া, তিউনেশিয়া, মরক্কো, বুলগেরিয়া ও লেবানন থেকে ৮০৯ কোটি ৪ লাখ টাকার টিএসপি, সৌদি আরব, চীন ও মরক্কো থেকে ৬৬৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকার ডিএপি, কানাডা, রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে ৭৫৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এমওপি এবং চীন থেকে ২১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এমএপি সার আমদানি করা হয়।
Advertisement
দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানান, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৭ বছরে ৩১০০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ট্রাস্ট ফান্ড হতে সারাদেশে বাস্তবায়নের জন্য ৫০১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং গৃহীত প্রকল্পের মধ্যে ২১৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।
এইচএস/জেএইচ/পিআর