সুযোগ সৃষ্টি না হতেই মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চাহিদা কম থাকায় চুক্তি করেও দেশটিতে ব্যাপকভাবে কর্মী পাঠাতে পারছে না সরকার। বছরে এক লাখের জায়গায় গড়ে যাচ্ছে মাত্র দুই হাজার কর্মী। এদিকে বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদের মাধ্যমেই কর্মী পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর কথাও বলেন তারা।জনশক্তি রফতানির দিক দিয়ে সৌদি আরবের পরই মালয়েশিয়ার অবস্থান। বর্তমানে পাঁচ লাখেরও বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক সেখানে কমর্রত আছেন। কিন্তু নানা অনিয়মের অভিযোগে তিন বছর দেশটিতে কর্মী নেয়া বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালে আবারও শ্রমবাজার চালু করতে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। মাত্র ৪০ হাজার টাকায় কৃষি ও বনায়ন খাতে বাংলাদেশ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিকের চাহিদার কথা জানায় মালয়েশিয়া। আর বছরে বিভিন্ন খাতে এক লাখ কর্মী নেয়ার কথা বলা হয়। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রায় ১৪ লাখ কর্মী মালয়েশিয়া যেতে নিবন্ধন করে। প্রথম ধাপে ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও পাঠানো হয় মাত্র ২০০ জনকে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে সব মিলিয়ে ৭ হাজার কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়েছে। তবে শিগগিরই এ অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী। এদিকে সরকারি পর্যায়ে কর্মী পাঠানোর এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া দুই দেশেরই বেসরকারি রফতানিকারকরা আপত্তি জানিয়েছিল। এ আপত্তির কারণেই মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি মুখ থুবড়ে পড়ে।আর বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদের ওপর নজরদারি বাড়ালেও তাদের দিয়েই এ কাজ করানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চাঙ্গা করতে বেসরকারি খাতকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করছে মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। সূত্র যুগান্তর এএইচ/এমএস
Advertisement