বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, উত্তেজনা প্রশমনে কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ অপরিহার্য । শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কোরীয় জনগণের মহান নেতা প্রেসিডেন্ট কিম ইন সুং এর ২৩ তম প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জুসে আইডিয়া আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
তিনি বলেন, কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা প্রশমনে প্রয়োজন ওই অঞ্চলের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং কোরিয়ার মহান নেতা কিম ইল সুং এর ১০ দফার বাস্তবায়ন। কিন্তু তা না করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দক্ষিণ কোরিয়ায় একের পর এক পারমাণিক অস্ত্র মজুদ করছে এবং আত্মরক্ষার্থে উত্তর কোরিয়াও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি এবং এর পরীক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে এ অঞ্চলে শান্তি-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ বিলম্বিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা করে যাচ্ছে পক্ষান্তরে দক্ষিণ কোরিয়ায় যে একের পর এক পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ গড়ে তোলা হচ্ছে যার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরিয়ার জনগণও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।অথচ জাতিসংঘ এ ব্যাপারে কোন কথা বলছে না।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া যখন বলছে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করলে তার দেশকেও ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া আর আফগানিস্তানের ভাগ্য বরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ কোন কথা বলছে না। এ পক্ষপাত আচরণের বিরুদ্ধে সচেতন জনতা ও বিবেকবান রাষ্ট্রসমূহকে সোচ্চার হতে হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বৈরি মনোভাব পরিহার করতে হবে।
Advertisement
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফর উল্লাহ’র সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত রী সং হাইন, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম প্রমুখ।
আরএম/ওআর