দেশজুড়ে

কুড়িগ্রামে বন্যায় ৭৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর পানি সামান্য বেড়েছে। জেলার নদ-নদীগুলো সরাসরি ভারত থেকে প্রবাহিত হওয়ায় উজান থেকে বয়ে আসা বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। গত ৪ দিনে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার অববাহিকায় প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।

Advertisement

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৬ সেন্টিমিটার, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বেড়েছে ২ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীতে ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বন্যার ফলে কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, চিলমারী, রাজারহাট ও রাজিবপুর উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানায়, কুড়িগ্রাম সদরে ২০ হাজার, উলিপুরে ১৭ হাজার, চিলমারীতে ২০ হাজার, রাজিবপুরে ৫ হাজারসহ অন্যান্য উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বন্যার ফলে সদর উপজেলার স্কুলগুলোতে লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার চৌধুরী জানান, স্কুলগুলোতে বিকল্প পাঠদানের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মকবুল হোসেন জানান, সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত বীজতলা ও ফসল নিমজ্জিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায় নি।

সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার ফলে শনিবার জরুরী সভার মাধ্যমে ৮৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সকল স্বাস্থ্যকর্মীকে মাঠ পর্যায়ে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে সকল রোগের পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ আছে।

জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মো. ফেরদৌস খান জানান, ঠিক সেভাবে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ইউনিয়ন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা ও দেড়শ’ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়াও ১৫ লক্ষ টাকা ও ৫শ মেট্রিকটন চাল ও ৩ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন চাওয়া হয়েছে।

নাজমুল/এমএএস/আরআইপি

Advertisement