আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, এখনকার বুদ্ধিজীবীরা কু-বুদ্ধিতে ওস্তাদ। সুশীল মানে ভালো নাপিত। ভালো নাপিত আর ভালো বুদ্ধিজীবী এক বিষয় নয়। এখনকার সুশীলরা ভালো কামাতে পারেন কিন্তু দেশ ও সমাজের জন্য কিছুই করার মুরোদ নেই।বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে খুনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ উভয়ই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। জিয়ার মতো এরশাদও তার মন্ত্রীসভায় স্বাধীনতাবিরোধীদের ঠাঁই দিয়েছিলেন। এরশাদের সময় শেখ হাসিনার ওপর একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়।তিনি আরো বলেন, ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার জনসভায় অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের বহনকারী একটি ট্রাকে পুলিশ গুলি চালালে ২৪ জন নিহত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া শেখ হাসিনার ওপর ১৯ বার হামলা চালায়। বাঙালির স্বার্থে শেখ হাসিনাকে আল্লাহ তায়ালা বাঁচিয়ে রেখেছেন।বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার রক্ষা নেই। শেখ হাসিনা এই দেশে বিচারের সংস্কৃতি চালু করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা, যুদ্ধাপরাধের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আন্দোলনের নামে খালেদা জিয়া যে অপরাধ করেছেন শেখ হাসিনা তারও বিচার করবেন।১৯৯১ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিশ্বাসঘাতক বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও রাজাকারপুত্র বিচারপতি লতিফুর রহমান অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিলেন। খালেদা জিয়াই এদেশে সাম্প্রদায়িক এবং হত্যার রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, সালাহউদ্দিনকে গুমের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া জাতির সামনে যে নাটক উপস্থাপন করেছেন এর জন্য তাকে অস্কার পুরস্কার দেয়া উচিত।বিএনপির আরেক নেতা ইলিয়াস আলীকেও খালেদা জিয়া গুম করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। যুবলীগ ঢাকা উত্তর শাখার সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।এএসএস/এসএইচএস/আরএস/আরআই
Advertisement