দেশজুড়ে

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় মামলা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, স্থলবন্দর ম্যানেজার, ট্রাক চালকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে আটজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার কাস্টমসের সহকারী কমিশনার, রাজস্ব কর্মকর্তাসহ শুল্ক বিভাগের চার কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। এদিকে আটক ট্রাক চালক ও হেলপারদের মুক্তির দাবিতে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা।পুলিশ, শুল্ক বিভাগ ও স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ, শুল্ক বিভাগ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এবং কতিপয় অসাধু আমদানিকারক দীর্ঘদিন থেকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে আসছিল। গত ১৯ মে মঙ্গলবার মাত্র ৪৮০ পিস ভারতীয় বাইসাইকেলের শুল্ক দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে দুই হাজার ৪০০ পিস ভারতীয় বাইসাইকেল আনা হয়। খবর পেয়ে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সামনে ট্রাকগুলো আটক করে বিজিবি। এ ঘটনায় পরদিন বুধবার বিজিবির পক্ষ থেকে সুবেদার মো. আবুল কালাম বাদি ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৪ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় থানায় একটি মামলা করেন।মামলার অভিযুক্তরা হলেন, নয় ট্রাক চালক ও হেলপার, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার কাজী আল তারিক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এবি ব্রাদার্স এর স্বত্বাধিকারী বিনয় মুজুমদার, আমদানিকারক রাজু সাইকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী (অজ্ঞাতনামা), বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা (অজ্ঞাতনামা), কাস্টমস কর্মকর্তা (অজ্ঞাতনামা)। এদের মধ্যে আট চালক ও হেলপারকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।এদিকে একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়া, রাজস্ব কর্মকর্তা সরদার মু. জাকির হোসেন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ আজাদ ও মো. নুরুজ্জামানকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।অন্যদিকে বিজিবির দায়ের করা মামলায় ট্রাক চালক ও হেলপারদের জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু করে জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে বাস ও ট্রাক থামিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম মমিন জাগো নিউজকে বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে পাঁচজন অজ্ঞাতনামাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ট্রাকের চালক ও হেলপারসহ আটজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার কাজী আল তারিকসহ অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় চার কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলির খবর নিশ্চিত করে কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. মুজিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার নুরুল হুদা আজাদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।সফিকুল আলম/এমজেড/আরআই

Advertisement