কৃষি ও প্রকৃতি

বৃষ্টিতেও থেমে নেই বৃক্ষপ্রেমীদের আগমন

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলার মাঠ প্রাঙ্গণে এক মাসেরও অধিক সময় ধরে চলছে জাতীয় বৃক্ষমেলা। গত ১ জুন থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।

Advertisement

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিন ধরে চলা বৃষ্টিপাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। থেমে থেমে টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছেই। এ কারণে জনসমাগম কিছুটা কম হলেও বৃক্ষপ্রেমীদের আগমন চোখে পড়ার মতো। মনের আনন্দে তারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের গাছ।

মেলায় দেশ-বিদেশের নানান জাতের বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের ব্যাপক সমারোহ রয়েছে। আছে ফলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলেরও গাছ। রকমভেদে মেলায় স্থান পেয়েছে ১০০ টাকার কম মূল্যের গাছ থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকার গাছও।

বৃক্ষরোপনের ক্ষেত্রে মানুষ এখন বেশ সচেতন। সামাজিক বনায়নের কল্যাণে দেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৭% হয়েছে।

Advertisement

বৃক্ষ মেলায় বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছের মধ্যে রয়েছে আম, কাঁঠাল, লিচু, কমলা, খেজুর, আনারস, ডেউয়া, তুতফল, কামরাঙা, লটকন, বিলেতি গাব সফেদাসহ বিচিত্র সব গাছের সমারোহ।

এছাড়া প্রত্যেক প্রজাতির গাছের মধ্যেও রকমফের রয়েছে। সেই অনুযায়ী দামও কিছুটা কম-বেশি হয়ে থাকে। তবে এর মধ্যে আম গাছের চারার চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শোভাবর্ধনকারী ও ফুলের গাছের মধ্যে রয়েছে গোলাপ, জবা, ক্যাকটাস, পাতাবাহারি, কাসাবা, চায়না বাঁশ, গন্ধরাজ, কাঠগোলাপ, হাসনাহেনা, রঙ্গন, বাগানবিলাস, কাটামুকুল, লেন্টেনা, মোসেন্ডা, কুঞ্জলতা, জুঁই, জিনিয়া, জারবেরা, পলাশ, পিস লিলি ইত্যাদি।

বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছের মধ্যে রয়েছে কলকাসুন্দা, বাসক, পাথরকুঁচি, তুলসি, থানকুনি প্রভৃতি।

Advertisement

গাছের চারার পাশাপাশি বাঁশ, বেত বা মাটির টব, বীজ, জৈবসার, কীটনাশক এবং গ্রোথ হরমোনও পাওয়া যাচ্ছে মেলায়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সবজি জাতীয় গাছ এবং বনসাইও পাওয়া যাচ্ছে।

ছাদে বাগান করা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হওয়ায় বারিধারার উন্নয়ন সংস্থা `লাইফ টু নেচার` নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও দিক নির্দেশনা দিচ্ছে এবারের মেলায়।

মিরপুর থেকে আসা দর্শনার্থী রুবেল হোসেন বলেন, বৃক্ষমেলায় এসে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। একটি সৌদি খেজুর গাছের চারা কিনেছি ১ হাজার টাকা দিয়ে। এখন একটি ক্যাকটাস বা বনসাই কেনার ইচ্ছা আছে।

এবারের বৃক্ষ মেলায় মোট ৭৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি বেসরকারি এবং ৬টি সরকারি। আর স্টল সংখ্যা মোট ১০০টি। যাতে শোভা পাচ্ছে দেশ-বিদেশের শত শত জাতের বিচিত্র ধরনের গাছপালা।

এমআরকে/এমএমজেড/জেআইএম