কৃষি ও প্রকৃতি

ড্রাগন চাষে ভাগ্য বদল

‘জীবনে শখ ছিল ব্যতিক্রম কিছু করার। পড়ালেখা শেষ করে যখন বেসরকারি একটা চাকরিতে যোগদান করি তখন থেকেই চিন্তা নতুন কিছু করতে হবে। যা দেখে অন্য মানুষ অনুপ্রাণিত হবে।’ এভাবেই নিজের স্বপ্নের কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আশরাফ হোসেন স্বপন।

Advertisement

স্বপন জানান, মাত্র সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে ২০১৪-১৫ সালে ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করেন। জমি থেকেই ঢাকার ব্যবসায়ীরা তার কাছ থেকে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল ৩৫০-৪০০ টাকা দরে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এ বছর ২২ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে তার।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে এক হাজার চারা হিসেবে সাড়ে ৩ হাজার ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করছেন স্বপন। চারাগুলো তিনি ময়মনসিংহ থেকে ১২০ টাকা দরে ক্রয় করেন। এ বছর থেকে ড্রাগন গাছে ফুল ফল আসতে শুরু করেছে। একটি ড্রাগন গাছে ২৫-৩০টি ফল এসেছে। তিনটিতে এক কেজি। তার জমিতে তিনি রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন না। জৈব সার ব্যবহার করে ড্রাগন চাষ করছেন। একটি চারা ৫০-৫৬ টাকা দরে বিক্রি করছেন। ফুল আসার ৪৫ দিনের মাথায় ড্রাগন ফল তোলা যায়। সাড়ে তিন বিঘা জমিতে গত ২ বছরে তার এই ড্রাগন ফল বাগানের পেছনে ৮-১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা শাহ মোঃ আকরামুল হক জানান, ড্রাগন ফলে ক্যালোরি খুব কম থাকায় এ ফল ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য ভালো। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ও আয়রন রয়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকার মাটি ড্রাগন ফলের জন্য বেশ উপযোগী। সফল চাষি স্বপনকে কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। সাধারণত মধ্য আমেরিকায় এ ফল বেশি পাওয়া যায়। যেহেতু স্বপন সফল হয়েছে সেহেতু অন্যরাও তাকে দেখে এগিয়ে আসতে পারে। জেলা কৃষি অফিস সকলের পাশে আছে।

Advertisement

আহমেদ নাসিম আনসারী/আরএআর/পিআর