জাতীয়

বিডিআর বিদ্রোহ : শেষ হলো ‘অপারেশন রেভলহান্ট’

বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার ও পলাতক বিদ্রোহীদের গ্রেফতারে পরিচালিত ‘অপারেশন রেভলহান্ট’এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার এক অফিস আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৬ বছর পর এ অভিযানের সমাপ্তি হতে যাচ্ছে।এ প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অপারেশন রেভলহান্ট বন্ধের পক্ষে মতামত দিয়েছে। কিন্তু এ অভিযান সমাপ্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। প্রতি ৬ মাস পরপর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর মতামত চায়। সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায় থেকে জারি করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পিলখানায় টাস্কফোর্স প্রতিস্থাপন বিষয়ে মতামত প্রদান শীর্ষক চিঠিতে বলা হয়েছে, অপারেশন রেভলহান্টের কার্যক্রম বিষয়ে বিজিবির মতামত পর্যালোচনা করেছে। সেখানে দেখা যায়, গত ২ বছর যাবৎ বিজিবি সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থায় সীমান্ত ভবনসহ (মহাপরিচালকের বাসভবন) সীমান্ত এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় অত্যন্ত দক্ষ, বিশ্বস্ত, সুশৃঙ্খল, পেশাদার এবং আস্থাভাজন বাহিনী হিসেবে নির্ধারিত সব কার্যাবলী সম্পন্ন করেছে। যা ইতোমধ্যে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল ২০১৫ থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাবের একটি কোম্পানি পিলখানায় মোতায়েন রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পিলখানায় বর্তমানে যে দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োজিত আছেন তা র্যাব কর্তৃকও পালন করা সম্ভব বিবেচনায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আগামী ১৭ জুন ২০১৫ তারিখ থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যহারের পক্ষে বিজিবি মতামত দিয়েছে।উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিয়ার বিদ্রোহ হয়। ওই সময় পিলখানা থেকে ব্যাপক অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠিত হয়। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার এবং পলাতক বিদ্রোহীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল অপারেশন রেভলহান্ট।জেআর/পিআর

Advertisement