আমাদের ব্যস্ত জীবনের অন্যতম সঙ্গী কফি। হাজার ব্যস্ততায় নিজেকে একটুখানি চাঙ্গা করে নিতে কফির জুড়ি মেলা ভার। সারাদিনের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে এক কাপ কফিই যথেষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এক পরীক্ষায় প্রমাণ করেছে, যারা প্রতিদিন চার বা ততোধিক কাপ কফি পান করে তাদের বিষণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা যারা কখনও পান করেনি তাদের চেয়ে ১০ ভাগ কম। কফিতে উচ্চমাত্রায় ক্যাফেইন নামে এক প্রকার উপাদান থাকার কারণেই এটি সম্ভব। এই কফি আপনাকে দূরে রাখবে নানারকম অসুখ থেকেও। চলুন জেনে নেয়া যাক-
Advertisement
যারা কাজের স্ট্রেসের কারণে রাতে ভালো করে ঘুমোতে পারেন না তারা শোয়ার আগে কিছুক্ষণ অন্তত কফির গন্ধ শুঁকুন। কফির অ্যারোমা কিন্তু নিমেষে আপনার স্ট্রেস কমিয়ে দেবে।
বিভিন্ন হার্ট ডিজিজ আর ডায়বেটিস অনেকটা কমে যায় যদি নিয়মিত অল্প পরিমাণে কফি পান করেন। তবে মাথায় রাখবে কফিটি হতে হবে চিনি ছাড়া। নিয়মিত কফি পান স্কিন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে দেহের অন্য অংশেও ক্যান্সারের আশঙ্কা কমায় ।
দিনে কয়েক কাপ কপি খেলে পার্কিনসন্স ডিসিজ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগটি দেখা দেয়। একটি সমীক্ষা বলছে এইসময় যদি কফি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন তা হলে অ্যালঝাইমারস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
Advertisement
বিজ্ঞানবিষয়ক দৈনিক সায়েন্স ডেইলি জানায়, পার্কিনসন রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা কফি পানে দারুণভাবে উপকৃত হতে পারেন। কফি তাদের এই রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। শুধু রোগাক্রান্তরাই নয়, নিয়মিত কফি পান করলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা যারা কফি পান করেন না তাদের তুলনায় কম।
কোলোন সার্জারি হলে পেট পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। রোজ কফি খেলে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে আর তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন।
সিউল ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটিতে ইদুরের মস্তিষ্কের উপর চালানো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, নিদ্রাহীনতার ফলে মস্তিষ্কের যে চাপের সৃষ্টি হয় কফি সে চাপ লাঘবে সাহায্য করে।
এইচএন/পিআর
Advertisement