সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন চার দেশের বেঁধে দেয়া ১৩ শর্তের জবাব পাওয়ার পর সৌদি জোট বলছে, কাতার যথাসময়ে এর জবাব পাবে। এদিকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সম্পর্ক পুনর্স্থাপনে দোহাকে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে তা অবাস্তব এবং মানার মতো নয়।
Advertisement
গত ৫ জুন সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশগুলো উপসাগরীয় প্রতিবেশি কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। এর জেরে গত দশকের মধ্যে নজিরবিহীন কূটনৈতিক সংকট দেখা দেয় মধ্যপ্রাচ্যে।
কাতারে বিরুদ্ধে চরমপন্থা সমর্থন ও সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ঘণিষ্ঠতার অভিযোগ আনা হয়। তবে কাতার এ অভিযোগ প্রত্যাখান করে আসছে। ওই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় উদ্বেগ দেখা দেয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও। বিশ্ব বাজারে সর্বোচ্চ জ্বালানি সরবরাহ হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশগুলোর বেঁধে দেয়া ১৩ দফা শর্তের জবাব দিয়েছে কাতার। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও ইরান ঘনিষ্ঠতার অভিযোগসহ ওই ১৩ শর্তের জবাবের জন্য কাতারকে ১০ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। রোববার সেই সময় শেষ হওয়ার পর কাতারের অবস্থান জানাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সম্পর্কচ্ছেদকারী দেশগুলো দোহাকে আরও ৪৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত সময় দেয়।
Advertisement
পরে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি কুয়েতে সংক্ষিপ্ত সফরে গিয়ে ১৩ শর্তের জবাব হস্তান্তর করেন। কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন ৪টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের জেরে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে কুয়েত। বুধবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যথাসময়েই জবাব পাবে কাতার।
এদিকে, মঙ্গলবার দোহায় জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা সন্ত্রাসবাদের বিষয় নয়। এটা বাক স্বাধীনতা বন্ধের বিষয়ে কথা বলছে।
সৌদি জোটের দেয়া ১৩ দফা শর্তের অন্যতম হচ্ছে মিসরের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে দোহাকে। একই সঙ্গে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে আনা এবং দোহায় তুরস্কের যে সামরিক ঘাঁটি আছে তা বন্ধ করতে হবে।
এসআইএস/আরআইপি
Advertisement