অর্থনীতি

সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। তবেই মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নমুক্ত একটি সুসংহত আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।বুধবার রাজধানীর আইসিএবি মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি একথা বলেন। আইসিএবি এর আয়োজন করে।তিনি আরো বলেন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর যে সমস্ত রিপোর্টিং এজেন্সি রয়েছে তার মধ্যে সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আইনজীবী, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবং জুয়েলার্স ও মূল্যবান ধাতুর ব্যবসায়ীরা। তবে, এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট্যান্টদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বলে আমি মনে করি। কারণ মানিলন্ডারিং বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় আর্থিক লেনদেনই মূল বিষয় এবং এক্ষেত্রে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টগণ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক তথ্যাদিতে সহজেই প্রবেশাধিকার পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট্যান্টরা যখন কোনো গ্রাহকের পক্ষে আর্থিক লেনদেন করে, কোনো রিয়েল এস্টেট কেনাবেচা করে, গ্রাহকের সিকিউরিটিজ বা অন্যান্য সম্পদ পরিচালনা করে, ব্যাংক হিসাব বা অন্য কোনো হিসাব পরিচালনা করে, কোনো কোম্পানি বা আইনগত সত্ত্বা গঠন বা পরিচালনায় সহায়তা করেন তখন গ্রাহকের আর্থিক তথ্যাদি সম্পর্কে অবগত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এসব আর্থিক লেনদেনে কোনো ধরনের মানিলন্ডারিং বা সন্ত্রাসে অর্থায়নের সম্পৃক্ততা থাকলে তারা তা সহজেই বুঝতে পারেন। তাই আপনাদের মাধ্যমে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ সংঘটনে সহায়তা না পান বা আপনাদেরকে কোনোভাবে ব্যবহার করতে না পারেন সে বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে বিএফআইইউতে রিপোর্ট করতে হবে।গভর্নর বলেন, বাংলাদেশে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসেবে কাজ করে চলেছে এবং তারা গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নের পরিবর্তনশীল কৌশলকে প্রতিহত করার ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, বিএফআইইউ ইতোমধ্যে এ সেক্টরের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং আপনাদের জন্যেও ইতোমধ্যে কিছু প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে।তিনি আরো বলেন, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইনগত কাঠামো এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু শুধু আইনগত কাঠামোর উন্নয়ন হলেই তা কার্যকর মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে না বরং আইনের যথাযথ প্রয়োগ অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। আর আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রিপোর্টিং এজেন্সিগুলোর মধ্যে অ্যাকাউন্ট্যান্টদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কারণ তাদের যেকোনো আর্থিক সিস্টেমের গেইটকিপার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এসএ/বিএ/আরআই

Advertisement