অপহৃত ফরহাদ মজহারকে রাতেই জীবিত ও অক্ষত ফিরে পেতে চায় উৎকণ্ঠিত পরিবার। তার স্ত্রী ফরিদা আখতার বলেছেন, যতই রাত বাড়ছে ততই উদ্বিগ্নতা বাড়ছে।
Advertisement
কারণ তার স্বামীর বয়স ৭০ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। নিয়মিত প্রেসারের ওষুধ খান। অপহৃত হওয়ায় তিনি ওষুধ কিংবা সারাদিন কোনো খাবার খেয়েছেন কি না তা জানেন না।
সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকাল থেকে মোবাইল ট্র্যাকিং করতে সমর্থ হলেও ১৮ ঘণ্টা পরও উদ্ধার করতে না পারায় তারা উদ্বিগ্ন।
ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সোমবার রাতে শ্যামলীর বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
Advertisement
তিনি জানান, অপহৃত হওয়ার পর থেকে ফরহাদ মজহার ৭/৮ বার ফোন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অপহরণকারী মুক্তিপণ চাইছে। টাকার জোগাড় হয়েছে কি না তা জানতে চেয়েছেন।
ফরিদ আখতার জানান, ফরহাদ মজহার খুব ভোর বেলা লেখালেখি করেন। যথারীতি আজও ঘুম থেকে উঠে কম্পিউটারে বসেন। তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন উনি কম্পিউটারে নেই। এ ঘর সে ঘর খোঁজাখুজি করে না পেয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন হন। সকাল ৫টা ২৯ মিনিটে তিনি প্রথম ফোন পান। মোবাইল ফোনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে, আমাকে মেরে ফেলবে।’
ফরহাদ মজহারের মেয়ে সমতলী বলেন, পুলিশ সারাদিন কাজ করেছে। পুলিশ প্রযুক্তি অনুযায়ী তার বাবার অবস্থান জানতে পেরেছে। সব তথ্য থাকার পরও এখনও উদ্ধার না হওয়ায় তারা সবাই ভীষণ উদ্বিগ্ন। বাবাকে উদ্ধারে সরকার, আন্তর্জাতিক মহল, মানবাধিকার সংস্থা ও মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা দেশ প্রেমিক, দেশের জন্য লেখালেখি করেন। তিনি রাজনৈতিক লেখক, দেশের স্বার্থে কথা বলেন। তার মতো একজন মানুষকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ায় আমরা অনেক বেশি চিন্তিত।’
Advertisement
ফরিদা আখতার বলেন, কোন রাজনৈতিক দল কী বক্তব্য দিচ্ছে সেটা তাদের দেখার বিষয় না। তিনি মিডিয়ার সহযোগিতা কামনে করে কোনো প্রকার বিভ্রান্তমূলক তথ্য প্রচার প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানান।
এমইউ/বিএ