দেশজুড়ে

নড়াইলের লাহুড়িয়ায় চাঁদাবাজি ও জুয়ায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়ায় অভিনব পন্থায় চলছে চাঁদাবাজি ও জুয়ার আসর। এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অভিনব চাঁদাবাজি ও জুয়ায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। চাঁদার টাকা না দিলে হামলার ঘটনা ও ঘটছে। প্রতি রাতেই বসে জুয়ার আসর। আর এ জুয়াবাজিতে অংশ নিতে বহিরাগতদের সমাগম ঘটছে।অভিযোগ রযেছে, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী  রোস্তম মোল্লা ওরফে রুস্তম পালোয়ান এসবের মূল হোতা। এসব কর্মকান্ডে স্থানীয় সন্ত্রাসী ছাড়াও রুস্তমের অন্যতম সহযোগি তার স্ত্রী লাইজু বেগম রিনা। লাহুড়িয়া গ্রামের খলিলুর রহমান (৫২) ও হাসমত (৪৫) অভিযোগ করে বলেন, রুস্তম ও তার ভাই মোস্ত মোল্লা এলাকায় অশান্তির মূল কারণ। তারা একদিকে যেমন চাঁদাবাজীসহ নানা সন্ত্রাসী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি জুয়ার আসর বসিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। আর এসব কাজে রুস্তমের স্ত্রীও নানাভাবে সহযোগিতা করে থাকে। রুস্তমের ছোট বোন রেবেকা সুলতানা (৩৭) জানান,  রুস্তমের স্ত্রী লাইজু  ব্লেড দিয়ে নিজের শরীর কেটে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ঘটনাও ঘটিয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল গোলাম রহমান জাগো নিউজ কে বলেন, দু’বছর আগে লাহুড়িয়া হাটে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাত ভেঙে দেয় রুস্তম। এসময় পাশে থাকা রুস্তমের স্ত্রীও তাকে মারধর করে। লাহুড়িয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা খানের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৬০) বলেন, তার সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছেলে সম্প্রতি বাড়ি আসায় রুস্তম তার (রোকেয়া বেগম) কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় প্রকাশ্য দুপুরে তাদের গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় মামলাও দায়ের হয়েছে। সরেজমিনে অভিযুক্ত রুস্তমের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী লাইজু বেগম সাংবাদিকের  সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি এবং বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম জাগো নিউজ কে জানান, এ ব্যাপারে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।  হাফিজুল নিলু/এসকেডি/পিআর

Advertisement