লেখক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার সকালে অপহৃত হওয়ার পর হন্যে হয়ে অবস্থান নিরূপণের চেষ্টা করছে পুলিশ। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী তার অবস্থান খুলনা অঞ্চলে বলে জানা গেছে। উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
Advertisement
ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করা হয়েছে বলে আদাবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী ফরিদা আক্তার। জিডি নং ১০১। থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোহসিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভোর ৫টার পর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না। সকালবেলা কে বা কারা ফোন করে। তিনি নিচে নামামাত্র অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ফরহাদ মজহারকে। এরপর স্ত্রীর কাছে ফোন আসে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে। এরপরই স্ত্রী ফরিদা আক্তার বিষয়টি ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগ পুলিশকে জানান।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে তার অবস্থান শনাক্ত হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ রাখছি। ‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফরহাদ মজহারের অবস্থান শনাক্ত ও তাকে উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
Advertisement
ডিসি বিপ্লব বলেন, ফরহাদ মজহারের বাড়ির সামনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে স্বাভাবিক পোশাক পরে তিনি হেঁটে বাসা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বাসা থেকে বের হওয়ার পর ৫টা ২৯ মিনিটে তার স্ত্রীর মুঠোফোনে ফোন করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাকে মেরে ফেলবে।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফরহাদ মজহার শ্যামলী রিং রোডের হক গার্ডেন নামের একটি ভবনে বসবাস করেন। তিনি সাধারণত ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। অত ভোরে তিনি বাসা থেকে বের হন না। তিনি সাধারণত সকাল ৮টা থেকে ১০টার পরই বাসার বাইরে যান। কিন্তু আজ অপহরণের ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আদাবর থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাসাটি পরিদর্শন করলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জেইউ/এসএইচএস/এমএস
Advertisement