দু’জন দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বি দেশের ফুটবলার। শুধু এ কারণেই দু’জনের মধ্যে ভাব থাকার কথা নয়; কিন্তু রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালে দেখা হয়ে গেলো দু’জনের। এরপর দু’জনের মধ্যে আন্তরিকতা এবং ভাব বিনিময় দেখলে- কে বলবে তারা আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের সাবেক দুই গ্রেট- দিয়েগো ম্যারাডোনা এবং রোনালদো নাজারিও!
Advertisement
দু’জনই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন। নিজেদের সেরা সময়ে দু’জনই ছিলেন বিশ্বসেরা। বিশ্বের তাবৎ ডিফেন্ডারদের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন তারা। ম্যারানডোনা জিতেছেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ আর রোনালদো জিতেছেন দুটি, ১৯৯৪ এবং ২০০২ বিশ্বকাপ।
এই দুই ফুটবলার সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইতালির পাওলো মালদিনি বলেছেন, ‘তার সেরা প্রতিপক্ষ ছিল দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা।’ আর সেরা ফর্মের রোনালদো লুইস নাজারিও লিমাকেও ম্যারাডোনার খুব কাছাকাছি রেখেছেন তিনি।
ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর ম্যারাডোনাকে কখনোই ফিফার কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। কারণ ফিফার সাবেক প্রেসিডেন্ট হোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ এবং সেপ ব্ল্যাটারের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল সর্বজন বিদিত।
Advertisement
২০১৫ ব্লাটার সরে যাওয়ার পর বিশ্ব ফুটবলের সর্বময় কর্তা হলেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ফুটবলের রাজপুত্রের সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্ক এবং তিনি ম্যারাডোনাকে বানিয়েছেন ফিফার শুভেচ্ছাদূত। সে সুবাধেই এই প্রথম ফিফার কোনও অনুষ্ঠানে দেখা গেল তাকে। ম্যারাডোনার সঙ্গে কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালে ফিফা আমন্ত্রণ জানিয়েছে রোনালদোকেও। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও ছিলেন এই দুই ফুটবল কিংবদন্তী।
বুটজোড়া তুলে রাখার পর থেকেই ফিফার বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান রোনালদো। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে আয়োজক কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বকাপের অন্যতম শুভেচ্ছাদূত। বেশ কিছুদিন আগেই ২০১৮ বিশ্বকাপের ম্যাসকট ‘জাবিভাকা’ উদ্বোধনও করেছিলেন দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement