মাছে-ভাতে বাঙালি আমরা। ভাতের সঙ্গে মাছও আমাদের প্রধান খাদ্য। তাই মাছের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মাছ চাষ জরুরি। আর কার্প জাতীয় মাছের মধ্যে বিগহেড কার্প মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ফলে এই মাছ চাষ করা প্রয়োজন। তবে এই মাছ মিশ্র পদ্ধতিতে চাষ করাই উত্তম।
Advertisement
নামকরণবিদেশি সিলভার কার্প মাছের মতো এই মাছের মাথা সম্ভবত বড় বলেই এর নাম বিগহেড কার্প।
বর্ণনাচাপা রুপালি বর্ণের শরীর ছোট ছোট আঁশ দিয়ে ঢাকা। পৃষ্ঠদেশ ধূসর কালো। পৃষ্ঠদেশে কালো কালো দাগ দেখতে পাওয়া যায়। পাখনার বর্ণ গাঢ় লাল।
উৎসএই মাছের আদি নিবাস চীন হলেও ১৯৮১ সালে প্রথম নেপাল থেকে এ দেশে আনা হয়। হ্যাচারিতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদন করা যায়। সাধারণত ৩-৪ বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। প্লাবিত নদীতে স্রোত রয়েছে এমন স্থানে প্রজনন করে থাকে।
Advertisement
বসবাসএরা জলাশয়ের স্বাদুপানির উপরিভাগে থাকতে পছন্দ করে। এদের খাবার উদ্ভিদকণা ও প্রাণিকণা। ছোট ছোট আর্থোপোডস খেয়ে থাকে।
দরদামমাছের সাইজ অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত ১ কেজি পোনার মূল্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ২০০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিগহেড কার্প মাছের পোনা জীবিত পরিবহন করা যায়।
এসইউ/জেআইএম
Advertisement