ভিডিওটা নেটে ছেড়ে দেবমেয়ের বাবা : আমার মেয়ে আপনার ছেলেকে পছন্দ করে, বিয়ে করতে চায়।ছেলের বাবা : অসম্ভব, ওই বখাটে মেয়ের হাতে আমার ছেলেকে কিছুতেই তুলে দিতে পারি না। রাত-দিন আড্ডা মারবে রাস্তা-ঘাটে আর পাড়ার ছেলেদের টিজ করে বেড়াবে। পাড়ার ছেলেরা তার জন্য ঘর থেকে বের হতে চায় না। আর আমার ছেলে তো ঘরের বাইরেই যায় না। সেই সহজ-সরল লজ্জাবতী ছেলেটাকে ওই মেয়ের হাতে আমি বাবা হয়ে কিছুতেই তুলে দিতে পারব না।মেয়ের বাবা : বুঝেছি, সহজ কথায় কাজ হবে না। তাহলে আপনার ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের সেই রুম ভিডিওটা নেটে ছেড়ে দেব। দরকার হলে আপনার ছেলের মুখে অ্যাসিড মারবো।ছেলের বাবা : ইয়ে মানে আচ্ছা, আপনি যা বলবেন তা-ই হবে। দয়াকরে আমার ছেলের এত বড় সর্বনাশ করবেন না।
Advertisement
****
এত ভয় পাবেন নাবিএ পাস করেও এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে চাকরি পাচ্ছে না। মামা-খালুর জোর না থাকলে কি আর আজকাল চাকরি হয়?
হঠাৎ একদিন চিড়িয়াখানায় তার একটা চাকরি হয়ে গেল। চিড়িয়াখানার বাঘটা হঠাৎ করে মারা যাওয়ায় খাঁচাটা শূন্য পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষ বলল, ‘তুমি যদি খাঁচার ভেতর একটা বাঘের পোশাক পরে বাঘের মত তর্জন-গর্জন দিতে পারো, তাহলে মাসে ৮ হাজার টাকা পাবে।’
Advertisement
অগত্যা বেকার ছেলেটা তাতেই রাজি। রোজ চিড়িয়াখানা খোলার আগে সে বাঘের পোশাক পরে খাঁচায় ঢুকে পড়ে। দর্শক এলে তাদেরকে তর্জন-গর্জন ও আরো নানা কায়দা-কসরত দেখিয়ে ভীষণ আনন্দ দেয়।
দেখতে দেখতে চিড়িয়াখানার দর্শক বেড়ে গেল। বাঘের খাঁচার সামনে বিরাট ভিড়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও খুশি হয়ে বেতন বাড়িয়ে দিল। ভালোই চলছিল দিন।
হঠাৎ একদিন হলো বিপত্তি। বাঘের খাঁচার পাশেই ছিল সিংহের খাঁচা। দুই খাঁচার মাঝে একটা লোহার জালের বেড়া। একদিন সেই বেড়া ধরে লাফিয়ে নেচে-কুদে মজা দেখাতে গিয়ে পুরনো বেড়া ভেঙে সে গিয়ে পড়লো সিংহের খাঁচার ভেতর।
ভয়ে জবুথবু হয়ে খাঁচার এক কোণে বসে দোয়া-দুরুদ পড়তে লাগলো বেচারা। এদিকে সিংহটাও কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে লাগলো তার দিকে। ভয়ে তো তার প্রায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোগাড়। এদিকে সিংহটা এক্কেবারে কাছে চলে এসেছে। প্রাণের মায়া ছেড়ে দিয়ে ছেলেটা যখন কালেমা পড়তে শুরু করলো; ঠিক তখন সিংহটা বলে উঠল, ‘ভাই, এতো ভয় পাবেন না, আমিও বাংলায় অনার্স।’
Advertisement
****
সাজায়া লাগায়া দিছিমন্টু নামিদামি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন ডিউটিতে গিয়েই বাজিমাত করে ফেলেছে। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডিউটি করেছে। বস তো মন্টুর উপর পুরাই খুশি। মন্টুকে তার চেম্বারে ডেকে বলছে-বস : ওয়েল ডান মাই বয়, তোমার পারফরমেন্স দেখে আমি খুবই খুশি। তা মন্টু, সারাদিন কি কাজ করলা?মন্টু : স্যার, আমার টেবিলে বইসা প্রথমেই দেহি কি-বোর্ডের এ-বি-সি-ডি উল্টাপাল্টা দেওয়া। কেমনটা লাগে বলেন! তাই সারাদিন বইসা কি-বোর্ডের বাটনগুলা খুইলা, আবার সাজায়া লাগায়া দিছি।
এসইউ/জেআইএম